চেনা জার্সিতেও আলো ছড়াতে পারেননি মেসি
চেনা জার্সিতেও আলো ছড়াতে পারেননি মেসি

১০ নম্বর জার্সি পরেও হার এড়াতে পারলেন না মেসি

বহুদিন পর চেনা জার্সিতে ফিরেছিলেন লিওনেল মেসি। ফ্রেঞ্চ কাপের নিয়ম মানতে গিয়ে মেসিকে কাল ১০ নম্বর জার্সিতে নামিয়েছিল পিএসজি। কিন্তু চেনা জার্সির মেসির চেয়ে পিএসজির চেনা শত্রুই কাল বড় হয়ে উঠেছেন। গত মৌসুমে পিএসজিকে স্তব্ধ করে লিগ আঁ জিতেছিল লিল। খুব সাধারণ এক দলকে অসাধারণ বানিয়ে তোলার পেছনে মূল অবদান ছিল ফ্রেঞ্চ কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়েরের।

গালতিয়ের এ মৌসুমে যোগ দিয়েছেন নিসে। গত মৌসুমে গালতিয়েরের দলকে লিগে হাররাতে পারেনি পিএসজি। এ মৌসুমেও লিগে নিসকে হারাতে পারেনি মরিসিও পচেত্তিনোর দল। গতকাল ঘরের মাঠে ফ্রেঞ্চ কাপে নিসের বিপক্ষে নেমেছিল পিএসজি। মেসি-ইকার্দি-ভেরাত্তিদের নিয়ে শক্তিশালী দলই নামিয়েছিলেন পচেত্তিনো। কিন্তু আবারও গালতিয়েরের কৌশলের জয় হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ড্র হওয়ার পর পেনাল্টিতে পিএসজিকে ৬-৫ গোলে হারিয়েছে নিস।

ম্যাচজেতানো গোলকিপারকে নিসের উল্লাস

এতে একটা প্রতিশোধও হয়ে গেল গালতিয়েরের। গত মৌসুমে লিগে পিএসজির কাছে হার না মানলেও কাপে শেষ ষোলোতে হেরেছিল লিল। নতুন দলের হয়ে ফ্রেঞ্চ কাপে কাল শেষ ষোলোতেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে দিয়েছে লিল।

করোনা থেকে সেরে উঠলেও পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে যাননি মেসি। কিন্তু কোচ পচেত্তিনোর মনে হয়েছে মেসি পুরোপুরি ফিট। কাল তাই মূল একাদশেই নামানো হয়েছিল তাঁকে। সে সঙ্গে আক্রমণে তাঁর সঙ্গী ছিলেন আরেক আর্জেন্টাইন মাউরো ইকার্দি। বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে চলে যাওয়ায় কাল আনহেল দি মারিয়াকে পাওয়ার উপায় ছিল না। এ অবস্থায়ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে না নামিয়ে কোচ নামিয়েছেন ইউলিয়ান ড্র্যাক্সলারকে।

এমবাপ্পেকে মূল একাদশে রাখেননি কোচ

ফর্মে থাকা এক খেলোয়াড় নেই, অন্য খেলোয়াড়কে একাদশে রাখেননি কোচ। এ সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়েছে। টানা সাতটি ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনাল খেলা পিএসজি তাই এবার কোয়ার্টারের উঠতে পারল না।

গালতিয়েরের জমাট রক্ষণের সামনে মেসি-ইকার্দিদের আক্রমণ ভোঁতা বলেই প্রমাণিত হয়েছে। প্রথমার্ধে মেসিকে মনে হয়েছে প্রাণহীন। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে প্রথম একটা গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল পিএসজি। কিন্তু মার্কো ভেরাত্তির শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৬০ মিনিটে ইকার্দিকে তুলে নিয়ে এমবাপ্পেকে নামান পচেত্তিনো। এমবাপ্পে নামার পর পিএসজির আক্রমণের ধার বেড়েছে, কিন্তু গোল পায়নি তাঁর দল।

পারেদেস পেনাল্টিতে গোল করতে পারেননি

টাইব্রেকারে পিএসজির হয়ে প্রথম দুটি শট নিয়েছেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাঁরা ঠিকমতোই নিজেদের কাজ করেছেন। তিন নম্বরে এসে শট নষ্ট করেছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার লিয়ান্দ্রো পারেদেস। ওদিকে অ্যান্ডি ডেলোর্টও মিস করায় দুই দল এগিয়েছে সমানে সমান। নিসের দান্তে সপ্তম শটে এক পানেনকায় ৬-৫ ব্যবধানে এগিয়ে দেন দলকে। পিএসজিকে ম্যাচে রাখার দায়িত্ব ছিল বার্সেলোনা একাডেমি থেকে পিএসজিতে যাওয়া মিডফিল্ডার জাভি সিমন্সের। কিন্তু তাঁর শট আটকে দিয়েছেন পিএসজি থেকেই যাওয়া গোলকিপার মার্চিন বুল্কা!