>কাল সেমিফাইনালের আগের রাতে ভীষণ জ্বরে পড়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচ। এই জ্বর নিয়েই ম্যাচের গোটা সময় মাঠে ছিলেন তিনি
খবরটা চমকে ওঠার মতোই। গতকাল সেমিফাইনালে মাঠে নামার আগের (মঙ্গলবার) রাতে জ্বরে পড়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচ। তা–ও নামকাওয়াস্তে নয়, একেবারে ১০২ ডিগ্রির কাঁপুনি-জ্বর। এমন জ্বরের ধকল কাটিয়ে বিশ্বকাপের মতো আসরের সেমিফাইনালে খেলাটা অবিশ্বাস্যই বটে। আবার ম্যাচটি গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে। সব মিলিয়ে এই ক্রোয়াট পুরো ১২০ মিনিটই খেলেছেন শরীরে জ্বর নিয়ে!
দলের প্রতি রাকিতিচের এই ত্যাগ বৃথা যায়নি। ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। শুরুর দিকে রাকিতিচকে তেমন ছন্দে দেখা না গেলেও ম্যাচ গড়িয়ে চলার সঙ্গে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলেছেন এই বার্সা তারকা।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে আসছেন রাকিতিচ। গোল করার সঙ্গে ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠেও আলো ছড়াচ্ছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারের শেষ শটে লক্ষ্য ভেদ করে দলকে তিনিই তুলেছেন সেমিফাইনালে। দলে তাঁর গুরুত্ব কত, তা ভালোভাবেই জানেন কোচ জ্লাতকো দালিচ। তাই জ্বর নিয়ে মাঠে নামতেও পিছপা হননি রাকিতিচ।
শুধু জ্বর কেন, এক পা না থাকলেও নাকি খেলতে রাজি ছিলেন তিনি, ‘গত (মঙ্গলবার) রাতে আমি জ্বরে ভুগছিলাম, প্রায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২.২ ফারেনহাইট)। খেলার জন্য শক্তি পেতে আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম। এটা কাজে দিয়েছে। তবে দরকার পড়লে আমি এক পা না থাকলেও ফাইনাল খেলব।’
চ্যাম্পিয়ন ফুটবলারদের মানসিকতা কেমন হয় সেটি রাকিতিচের এই কথাতেই পরিষ্কার। তবে ইংলিশদের সমালোচনাও করেছেন তিনি। ক্রোয়াটদের হারানোর আগেই নিজেদের ফাইনালে তুলে দিয়েছিল ব্রিটিশ সমর্থকেরা, এমনকি সংবাদমাধ্যমও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে উৎসবের প্রস্তুতিও নিয়েছিল ইংলিশরা। কিন্তু হারের কারণে তাদের সবকিছুই পণ্ড। রাকিতিচ ইংলিশদের কাটা ঘায়ে যেন নুনের ছিটা দিলেন, ‘ওরা ভেবেছিল, আগেই ফাইনালে উঠে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে অনেক কিছু আপলোডও করেছে। তারা এটা চালিয়ে যেতে পারে আর আমরা রোববার (ফাইনাল) খেলব।’