মার্সেলো লিপ্পি, ভিসেন্তে দেল বস্ক, মারিও জাগালো...। তালিকাটা অনেক লম্বা। কিংবদন্তি ফুটবল কোচদের এ তালিকায় কেউ জন হার্ডম্যানকে রাখবেন বলে মনে হয় না! বরং নামটা শুনেই কেউ কেউ পাল্টা প্রশ্ন করতে পারেন, জন হার্ডম্যান? এই লোক আবার কে!
জাগালো-দেল বস্ক-লিপ্পিদের কাতারে হার্ডম্যানকে রাখাটা বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। আবার এটাও তো সত্যি যে ৪৬ বছর বয়সী হার্ডম্যানের অর্জনের একটি পাতায় কিংবদন্তি এসব কোচের জায়গা হবে না। কোচ হিসেবে হার্ডম্যানের এমন একটা কীর্তি আছে, যা তাঁদের কারও নেই। কী সেই কীর্তি? ইতিহাসের প্রথম কোচ হিসেবে ছেলে ও মেয়েদের জাতীয় দলকে ফিফা বিশ্বকাপের মূল পর্বে তোলা।
কাল কনকাক্যাফ অঞ্চলের বাছাইপর্বে জ্যামাইকাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে কানাডা। ৩৬ বছর পর কানাডার ছেলেদের দলকে আবার বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার এই টিকিট এনে দেওয়ার নেপথ্য নায়ক এই জন হার্ডম্যান। এ অর্জনের মাধ্যমেই অনন্য ওই কীর্তি গড়েছেন ছাত্রজীবনেই কোচিং শুরু করা এই ইংলিশ কোচ।
কানাডা নারী দলের কোচের দায়িত্ব ছেড়েছেন ২০১৮ সালে। যে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০১১ নারী বিশ্বকাপের পর। ২০১৫ বিশ্বকাপে তাঁর কোচিংয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল কানাডা। ২০১২ ও ২০১৬ অলিম্পিকেও হার্ডম্যানের হাত ধরে ব্রোঞ্জ জেতে কানাডার মেয়েদের দল। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে মেয়েদের দায়িত্ব ছেড়ে কানাডার ছেলেদের জাতীয় দলের কোচ হন হার্ডম্যান। তিন বছর যেতে না যেতেই তিনি এখন নতুন এক ইতিহাসের স্রষ্টা।