সেই হার্ট অ্যাটাকের নয় মাস পর ডেনমার্ক জাতীয় দলে ফিরলেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। সার্বিয়া ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের জন্য ২৩ জনের দলে ডাক পেয়েছেন ৩০ বছর এই মিডফিল্ডার।
গত বছর জুনে ইউরোয় ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়ে মাঠেই মুখ থুবড়ে পড়ে যান এরিকসেন। ভয়, শঙ্কা, দুশ্চিন্তা আর যা যা নেতিবাচক কিছু ভাবা সম্ভব, সেদিন সব ঘিরে ধরেছিল দর্শকদের।
মাঠে ত্বরিতগতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে 'সিপিআর' না দিলে এরিকসেনকে ফিরে পাওয়া যেত কি না সন্দেহ।
শেষ পর্যন্ত সব দুশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে মাঠে ফিরেছেন এরিকসেন। গত জানুয়ারিতে বলেছিলেন, 'কাতার বিশ্বকাপে খেলাই আমার লক্ষ্য।'
তাঁকে টেনে নিতে দেরি করেনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ব্রেন্টফোর্ড। গত মাসে অভিষেকও হয়ে গেছে। এবার জাতীয় দলে ফিরে কাতার বিশ্বকাপে খেলার পথে বড় জ্বালানিটুকু পেয়ে গেলেন এরিকসন।
এ মাসের শেষ দিকে প্রীতি ম্যাচের জন্য কাল দল ঘোষণা করেন ডেনমার্ক কোচ ক্যাসপারল হিউলমান্দ। এরিকসেনকে তাঁর পজিশনে সেরা বলেই ফিরিয়ে আনার কথা জানালেন কোচ, 'এই মুহূর্তে তার খেলা প্রত্যাশা করিনি। ভেবেছিলাম, মৌসুমের শেষ দিকে হয়তো পারবে। কিন্তু ক্রিস্টিয়ান তার পজিশনে সেরা বলেই স্কোয়াডে রাখা হয়েছে।'
ইউরোয় হার্ট অ্যাটাকের পর এরিকসেনের বুকে 'পেসমেকার' বসেছে, সে কারণে ইতালিয়ান ফুটবলে আর খেলার সুযোগ পাননি। ইন্টার মিলান ছাড়তে হয়। এরপর ফ্রি এজেন্ট হিসেবে তাঁকে টেনে নেয় ব্রেন্টফোর্ড।
এরিকসেনের ফিটনেস নিয়েও সন্তুষ্ট হিউলমান্দ, 'শারীরিকভাবে ক্রিস্টিয়ান ভালো অবস্থায় আছে। শনিবার বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচে সে ছিল সেরা খেলোয়াড়। সে এমন একজন খেলোয়াড় যে অনেকের চেয়ে দ্রুত ভাবতে পারে।'
হার্ট অ্যাটাকের পর বার্নলির বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে গোলও করান এরিকসেন। কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করা ডেনমার্ক ২৬ মার্চ নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে। তিনদিন পর কোপেনহেগেনে প্রতিপক্ষ সার্বিয়া।