প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার সঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার সঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী

হামজাকে নিজের ফুটবল প্রেমের কথা শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

হামজা চৌধুরীকে নতুন করে বাংলাদেশের ফুটবল অনুসারীদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে ফুটবলাররা বিদেশের মাটিতে খেলছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বলতম তারকা তো এই মিডফিল্ডার। সেই হামজার একটি ছবি বাংলাদেশের ফুটবলভক্তদের মনে আশার দোলা লাগিয়েছেন।

আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি ঘুরছে। দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী ও তাঁর মা-বাবা। ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগে ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলেন এই মিডফিল্ডার।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও হামজা

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৬। এই সম্মেলনে যোগ দিতে সেখানে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল কাল। লন্ডনের বেথনাল গ্রিনের এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানানো হয়। আয়োজনটি করা হয়েছিল লেবার পার্টির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলীর পক্ষ থেকে।

বাবা ও মায়ের সঙ্গে হামজা চৌধুরী

হামজার জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও বাঙালি পরিবারে জন্ম হওয়ার সুবাদে বাংলার আলো-বাতাস সঙ্গী করে বড় হয়েছেন। বাংলাদেশে হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে তাঁর শিকড় পোঁতা। তাই বাবা দেওয়ান গোলাম মুর্শেদ চৌধুরী ও মা রাফিয়া চৌধুরীকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে।

প্রধানমন্ত্রী ও হামজার মধ্যে আলাপ সম্পর্কে হামজার বাবা গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘হামজাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর ফুটবল প্রেমের কথা বলেছেন। তাঁর নাতিরা ফুটবল খেলতে পছন্দ করেন এবং তাঁর বাবা আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতেন বলে জানিয়েছেন। হামজা লেস্টার সিটির মতো একটা দলে খেলে, এ নিয়েও প্রশংসা করেছেন তিনি।’
প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেয়ে আপ্লুত গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে খুব কাছে থেকে দেখেছি। আমার ছেলের কথা তিনি শুনছেন এবং তাঁর গল্প শোনাচ্ছেন। এটি খুবই ভালো লেগেছে।’