>ফিফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই দুটো হলুদ কার্ড দেখলে ঠিক পরের ম্যাচটায় বাইরে বসে থাকতে হবে খেলোয়াড়কে। শেষ ষোলো পর্যন্ত যাঁরা দুটো হলুদ কার্ড দেখে ফেলেছেন, কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁরা খেলতে পারবেন না
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় কাসেমিরো। তাঁকে ব্রাজিল দলের ‘হৃৎপিণ্ড’ বললেও অত্যুক্তি করা হবে না। ব্রাজিলের মূল একাদশে কাসেমিরোই যেন নিঃশব্দে নিশ্চিত করেন কুতিনহো, নেইমাররা যেন রক্ষণের দায়িত্ব ভুলে নির্ঝঞ্ঝাটে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারেন। এই কাসেমিরোকেই বেলজিয়ামের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাচ্ছে না ব্রাজিল।
কেন? দ্বিতীয় রাউন্ডের মধ্যেই দুটো হলুদ কার্ড দেখে ফেলেছেন কাসেমিরো। আর ফিফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোয়ার্টার ফাইনালের আগের খেলাগুলোয় দুটো হলুদ কার্ড দেখে ফেললে পরের ম্যাচে দর্শক হয়ে থাকতে হবে সেই খেলোয়াড়কে। এই নিয়মের বেড়াজালেই আটকে গেছেন কাসেমিরো। তবে শুধু কাসেমিরোই নন, এ রকম দুর্ভাগা আরও অনেকেই আছেন।
ফরাসি মিডফিল্ডার ব্লেইস মাতুইদির কথাই ধরুন। শেষ ষোলোয় মেসিদের আটকে রাখার পেছনে তাঁর বেশ ভালো ভূমিকা ছিল। সেই মাতুইদি এই টুর্নামেন্টে তাঁর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেছেন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে। ফলে কোচ দিদিয়ের দেশমের কপালের ভাঁজ বাড়িয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটাতে খেলতে পারবেন না তিনি। তাঁর জায়গায় খেলতে পারেন উইঙ্গার নাবিল ফেকির।
ব্রাজিলের মূল দলে কাসেমিরোর ভূমিকা যেটা, ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠে মার্সেলো ব্রোজোভিচের ভূমিকাও কমবেশি একই রকম। রক্ষণাত্মক এই মিডফিল্ডারের ভালো খেলার ওপরেই নির্ভর করে মদরিচ, রাকিতিচরা নিজেদের সম্পূর্ণভাবে মেলে ধরতে পারবেন কি না। এই ব্রোজোভিচকে কোয়ার্টার ফাইনালে পাচ্ছে না ক্রোয়েশিয়া। সেটাও দুটি হলুদ কার্ড দেখার জন্য। কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক রাশিয়ার মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া। তাঁর জায়গায় দলে আসতে পারেন মিলান বাদেল ও মাতেও কোভাচিচের মধ্যে যেকোনো একজন।
সুইডেনের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার পেছনে রাইটব্যাক মিকায়েল লাসতিগের অবদান রয়েছে অনেক। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে এই লাসতিগও খেলতে পারছেন না। দুটি হলুদ কার্ডের খাঁড়ায় কাটা পড়েছেন তিনিও। এখন দেখার বিষয়, নিজ নিজ দলের এই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়া দলগুলো কীভাবে নিজেদের সামলে নিতে পারে!