>চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে সার্জিও রামোসের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে কাঁধে চোট পান মোহাম্মদ সালাহ। লিভারপুলের মিসরীয় ফরোয়ার্ডের বিশ্বকাপে খেলা এখন শঙ্কার মুখে। রামোসকেও এ জন্য খেসারত গুনতে হচ্ছে। তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে
টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। সার্জিও রামোসের ফোনে তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই শুভেচ্ছাবার্তা উপচে পড়ার কথা। রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক রাশি রাশি শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন ঠিকই, সঙ্গে উপরি হিসেবে পেয়েছেন কিছু হুমকিও।
রীতিমতো মৃত্যুর হুমকিই পেয়েছেন রিয়াল অধিনায়ক। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মোহাম্মদ সালাহকে শক্ত ট্যাকলে মাঠ ছাড়া করার কারণেই এই হুমকি। কিয়েভের ফাইনালে ম্যাচের ২৫ মিনিটে রামোসের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে কাঁধে চোট পান সালাহ। পাঁচ মিনিট পরই কান্নাভেজা চোখে মাঠ ছেড়েছেন লিভারপুলের মিসরীয় এই ফরোয়ার্ড। কাঁধের এই চোট সালাহর বিশ্বকাপ ফেলে দিয়েছে শঙ্কায়। বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে মিসর বড় জোড় গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তাঁকে পেতে পারে।
সালাহর এই চোটের জন্য অনেকেই রামোসকে দুষেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে চরম রোষানলে রিয়ালের স্প্যানিশ তারকা ডিফেন্ডার। তবে ব্যাপারটা শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই থেমে থাকেনি। স্পেনের সংবাদমাধ্যম ‘ক্যাডেনা কোপ’ জানিয়েছে, রামোস এবং তাঁর পরিবারকে মৃত্যুভীতি দেখানো হয়েছে। ফোনে অপরিচিত ব্যক্তিরা তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেও খুদেবার্তার মাধ্যমে একই হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আর তাই বাধ্য হয়েই পরিবারের সবার ফোন নম্বর পাল্টেছেন রামোস। তাঁর এজেন্ট ঘটনাটা পুলিশকে জানিয়েছেন। পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হুমকিদাতাদের পরিচয় উদ্ঘাটনে।
সালাহ-রামোস ইস্যুতে ফুটবলবিশ্ব কিন্তু দ্বিধাবিভক্ত। একদল মনে করছে, রামোস ইচ্ছা করেই সালাহকে ফাউল করেছেন। আরেক দলের দাবি, ব্যাপারটা অনিচ্ছাকৃত। সম্পূর্ণ পেশাদারি দৃষ্টিকোণ থেকেই সালাহকে ওভাবে বাধা দিয়েছেন রামোস। লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ প্রচ্ছন্নভাবে রামোসকে দায়ী করলেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ডের যুক্তি, ‘রামোস রক্ষণটা ছিল দারুণ। আমার মনে হয় না এটা ইচ্ছাকৃত ছিল।’