বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন নদীয়া জেলা প্রশাসক ডি কে ঘোষ (ডানে)।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন নদীয়া জেলা প্রশাসক ডি কে ঘোষ (ডানে)।

স্বাধীনতার ইতিহাসে একজন ডি কে ঘোষ

এক.

রুমে ঢোকার পর ঠিক কতক্ষণ সময় পার হয়েছে, মনে নেই। বিশ-পঁচিশ মিনিট তো হবেই। এখানে তিনি ছাড়া আর কেউ নেই। একটু নীরবতার আশায় রুমে ঢুকেছিলেন। একটু পরে যে সিদ্ধান্তটা দিতে হবে, তার জন্য কিছুক্ষণ ঠান্ডা মাথায় থাকা বড্ড জরুরি।

চাপে ভেঙে পড়ার মতো মানুষ অবশ্য তিনি নন। ঢের জটিল পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন চাকরি জীবনে। যেকোনো কঠিন পরীক্ষায় উতরেছেন ভালোভাবে, ঝামেলা সামলেছেন শক্ত হাতে। চুলগুলো তো আর এমনি এমনি পাকেনি।

কিন্তু সেদিনের পরিস্থিতিটা ছিল একদম ভিন্ন। ও রকম পরিস্থিতিতে আগে কী পড়েছিলেন কখনো? মনে করতে পারছেন না। পরিস্থিতির অভিনবত্ব একটু হলেও আজ তাঁকে চঞ্চল করে দিয়েছে। ছটফট করছে মন। তবে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে তাঁর পোড়খাওয়া মস্তিষ্কও যে একটু চাপে পড়ে গেছে, সেটা স্বীকার করতে তিনি রাজি নন। অধীনস্থরা যেন তাঁর মনের মধ্যে চলতে থাকা দমকা ঝড়ের ঝাপটা একটুও টের না পায়, সে কারণেই ঠান্ডা মাথায় কিছুক্ষণ চিন্তাভাবনা করার সময়টা ধার করে নিয়েছেন নিজের কাছ থেকে। সঙ্গে একের পর এক ধরিয়ে চলেছেন চারমিনার। স্নায়ু ঠান্ডা রাখতে হবে যে!

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

কিন্তু নীরবতা আর পাচ্ছেন কোথায়! রুমের বাইরে হইহুল্লোড়। সঙ্গে বাঁশি, ভেঁপু, ঢোল-করতাল, হুইসেল—যে যেভাবে পারছে, আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। তিনি বুঝছেন, দরজার ওপারে তাঁর অধীনস্থরা প্রবল উৎকণ্ঠায় কাটাচ্ছেন একেকটা মুহূর্ত, অপেক্ষা করছেন তাঁর সিদ্ধান্তের। জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ শংকর হাজরা আর তানভীর মাজহার তান্না—ওপার বাংলার তিন তরুণও আছে হয়তো। তাঁর কাছ থেকে ‘হ্যাঁ’ না শুনে ওরা যে এক পা-ও নড়বে না, এটা তিনি খুব ভালোমতোই বুঝে গেছেন এতক্ষণে।

‘গোটা বাংলা আজ কৃষ্ণনগরে উঠে চলে এসচে নাকি!’ মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন করলেন তিনি। কুচকুচে কালো সানগ্লাসের আড়ালে থাকা চোখ দুটি জানালা দিয়ে বাইরের অবস্থাটা দেখার চেষ্টা করল একটু। তাতেই যা বোঝার বুঝে গেলেন। তিলধারণের ঠাঁই নেই কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামে। পিলপিল করে মানুষ ঢুকছে। নিচে বসার জায়গা না পেলে আশপাশের গাছে উঠে পড়ছে, খেলা দেখার জন্য। এ খেলা যে তাঁদের দেখতেই হবে! জীবনে এমন ইতিহাসের সাক্ষী কবারই হওয়া যায়!

২০১৪ সালের আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু।

তাঁর নিজেরও কী নেই? হয়তো আছে। কিংবা নেই। তবে এটা নিশ্চিত, ছেলেগুলো যা চাইছে, সেটায় রাজি হয়ে গেলে তাঁর বিবেক শান্তি পাবে। নিজের বাঙালি সত্তা পাবে স্বস্তি। হ্যাঁ, নিজের পেশাদার জীবনে ধাক্কা আসবে একটু, তাতে কী? জীবনে তো কম চাকরি করলেন না! এই বয়সে এসে যন্ত্রের মতো চলতে থাকা মস্তিষ্কের কথা না হয় একটু না-ই শুনলেন, সাড়া দিলেন বিবেকের আহ্বানে।

ছেলেগুলোর কথা মনে পড়ল তাঁর। একটু আগেই যখন তাঁর সামনে দাবিটা নিয়ে এল, কী জ্বলজ্বল করছিল তাদের চোখগুলো! কণ্ঠে ভয়ডর নেই, আছে শুধু দৃঢ়তা। তেজি শব্দগুলো বুকে গিয়ে লাগল যেন। কারও চোখেমুখে দেশের জন্য কিছু করে দেখানোর এমন প্রত্যয় সর্বশেষ কবে দেখেছেন, মনে করতে পারলেন না।

ভাবনায় ছেদ পড়ল দেয়ালঘড়ির ঢং ঢং শব্দে। আধাঘণ্টা কীভাবে কেটে গেল, বুঝতেই পারলেন না! হাতে থাকা সর্বশেষ চারমিনারটার অবশিষ্টাংশটুকু অ্যাশট্রের ভেতর পিষতে পিষতে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে আরেক দফা নিশ্চিত হয়ে গেলেন তিনি। ছেলেদের দাবিটা মানতেই হবে। কাজটা যে তিনি শুধু তাদের জন্য করবেন, তা নয়। নিজের জন্যও করবেন। তাঁর বাঙালি সত্তার জন্য করবেন।

যে অনিশ্চয়তা আর দ্বিধাকে সঙ্গী করে রুমে ঢুকেছিলেন, সেগুলো ঝেড়ে ফেলে দিয়েই রুম থেকে বের হওয়ার জন্য দরজার দিকে পা বাড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার প্রশাসক ডি কে ঘোষ।

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল প্রথম ম্যাচটি খেলে ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই। কৃষ্ণনগরে নদীয়া জেলা দলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে শুভেচ্ছা-পতাকা গ্রহণ করছেন অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু (সাদা পোশাক) l

দুই.

জেলা প্রশাসকের রুমের বাইরে অস্থির পায়ে এদিক-ওদিক করছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু। দেশমাতৃকার টানে যে উদ্যোগটা তাঁরা নিয়েছেন, শেষ মুহূর্তে এসে যদি তার সফলতা এভাবে আটকে যায়, কীভাবে সান্ত্বনা দেবেন নিজেকে? সতীর্থদের?

তিনি, প্রতাপ, তানভীর, প্যাটেল—সবাই মিলে দলটা গঠন করেছিলেন তো নিছক বিদেশের মাটিতে ফুটবল খেলে বেড়ানোর জন্য নয়। গোটা বিশ্ব বুঝুক, ঢাকার মাটিতে পাকিস্তানিরা আগা খান গোল্ডকাপ আয়োজন করে ‘পাকিস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে’ প্রমাণ করতে চাইলেও আসলে তা নয়। হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার ছাপ বয়ে বেড়াচ্ছে প্রিয় মাতৃভূমি। বহির্বিশ্বে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতেই তো স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করে বিদেশে খেলতে আসা, যেখানে জয়-পরাজয় মুখ্য নয়। খেলার কারণে বাংলাদেশের যে প্রচারণাটা হবে, কিছু অর্থ সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের তহবিলে দেওয়া যাবে—সেটাই মূল লক্ষ্য। তার জন্যই পিন্টুসহ তিরিশের ওপর খেলোয়াড়-কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে এসেছেন বিদেশভূমিতে। ম্যাচের আগে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো, জাতীয় সংগীত বাজানো—এসব সেই প্রচারণারই অংশ।

স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের প্রথম অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু।

নদীয়ার মাটিতে নদীয়া জেলা একাদশের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল সেদিন। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের প্রথম ‘অ্যাসাইনমেন্ট’। জার্সি-শর্টস পরে প্রস্তুত পিন্টু-প্রতাপরা। এর মধ্যেই ঘটল বিপত্তি। জানিয়ে দেওয়া হলো, ম্যাচের আগে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। নদীয়ার মাটিতে বাজবে না বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।

দলের ম্যানেজার তানভীর এমনিতেই একটু বদমেজাজি। জেলা প্রশাসকের কথা শুনে সবার আগে তার প্রতিক্রিয়াই শোনা গেল জোরেশোরে। পিন্টু এসে থামালেন তাঁকে। তারপর সরাসরি গেলেন জেলা প্রশাসক ডি কে ঘোষের কাছে।

—স্যার, আমরা তো আগেই জানিয়েছিলাম, ম্যাচ খেলার আগে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশের পতাকাও উত্তোলন করতে হবে। আমাদের জাতীয় সংগীতও বাজাতে হবে। তখন আমাদের মানা করা হলো না। তাহলে এখন কেন ম্যাচের আগে মানা করা হচ্ছে?

—পিন্টুবাবু, আমি আপনার বক্তব্য বুঝতে পেরেছি। আপনাদের দাবিদাওয়ার সঙ্গে নৈতিক সমর্থন আছে আমাদের। কিন্তু কী করব বলুন, আমাদের হাত-পা নিয়মের শিকলে বাঁধা। ওপার বাংলায় যত যা-ই হোক, এখনো আমাদের দেশ আপনাদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। আর স্বীকৃতি না দিলে কীভাবে আপনাদের পতাকা ওড়ানোর অনুমতি দিই? কীভাবে বাজাতে দিই আপনাদের জাতীয় সংগীত?

—স্যার, আমরা কিছু জানি না। আপনি দেখছেন, কত মানুষ আজ এসেছে খেলা দেখতে। আমরা এত আগ্রহী মানুষের মন ভেঙে দিতে চাই না। আমরা খেলতে চাই। সম্প্রীতির উদাহরণ কায়েম করতে চাই। খেলার মাধ্যমে আমাদের দেশের পরিচয় সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। মানুষ বুঝুক, বিশ্বের বুকে আরও একটা দেশ মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। আর সে সুযোগ আমাদের দেওয়া না হলে, আমরা খেলব না স্যার।

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল

পিন্টুদের প্রত্যয়ী কণ্ঠস্বর শুনে আর কথা বাড়াননি নদীয়ার জেলা প্রশাসক ডি কে ঘোষ। বাকি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করলেন কিছুক্ষণ, এরপর নিজের রুমে ঢুকে গেলেন, তা–ও আধঘণ্টার মতো হয়ে গেছে। তখন থেকেই রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে পিন্টু, প্রতাপ, তান্না। জেলা প্রশাসকের মুখ থেকে ‘হ্যাঁ’ না শুনে নড়বেন না একচুলও।

পিন্টুর ভাবনায় ছেদ পড়ল দরজা খোলার শব্দে। বের হয়ে এলেন ডি কে ঘোষ। হাত রাখলেন পিন্টুর কাঁধে।

—ইয়ংম্যান, সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি আমরা। আপনারা ম্যাচের আগে নিজেদের পতাকা ওড়াতে পারেন। বাজাতে পারেন নিজেদের জাতীয় সংগীত।

—কিন্তু স্যার, আপনার কোনো সমস্যা হবে না?

—সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আপনাদের সঙ্গে খেলার সিদ্ধান্ত যখন নিয়েছি, সব দাবিদাওয়া মেনেই মাঠে নামব। আমরাও হতে চাই এই ইতিহাসের অংশ। আপনারা যে মহান উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার জন্য এখানে এসেছেন, সেটায় যদি এটুকু অবদানই রাখতে না পারি, তাহলে আপনাদের আমন্ত্রণ জানালামই–বা কেন, তাই না?

ধন্যবাদ দিতে গিয়ে গলাটা ধরে গেল পিন্টু-প্রতাপদের। পৃথিবীতে এমন ভালো মানুষও আছে তাহলে!

তিন

করতালির শব্দে কান পাতা দায়। জেলা প্রশাসক নিজেও হাজারো মানুষের সঙ্গে একাত্ম হয়ে হাততালি দিচ্ছেন। এর মধ্যেই তাঁর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা মঞ্চে উপবিষ্ট জেলা প্রশাসকের পাশে দাঁড়িয়ে ‘স্যার, স্যার’ বলে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন অবিরত। হাতে একটা কাগজ।

পাশে তাকিয়ে ওই কর্মকর্তার হাত থেকে কাগজটা নিলেন জেলা প্রশাসক। অফিশিয়াল নোটিস। সেটি একনজর পড়ার পরই তাঁর ঠোঁটে মুচকি হাসি দেখা গেল।

স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের কাজী সালাউদ্দিন (সবার সামনে)

যা ভেবেছিলেন, তা–ই হয়েছে। দেশের মাটিতে স্বীকৃতি না পাওয়া অন্য দেশের পতাকা ওড়ানো এবং তাদের জাতীয় সংগীত বাজানোর অনুমতি দেওয়ার ‘দায়ে’ সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে নদীয়া জেলা ক্রীড়া সমিতির অনুমোদন।

পড়া শেষ হওয়ার পর চিঠিটা ঠিকঠাক ভাঁজ করে খামে ঢুকিয়ে পাশে থাকা কর্মকর্তার হাতে দিয়ে দিলেন তিনি। যেন কিছুই হয়নি। চোখেমুখে নেই কোনো চিন্তার ভাঁজ, বরং সুখী মানুষের ছাপটাই সেখানে বেশি স্পষ্ট। আবারও হাততালি দেওয়া শুরু করলেন জেলা প্রশাসক ডি কে ঘোষ।

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু ও সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শংকর হাজরার হাতে তখন সবুজ পটভূমিতে হলুদ মানচিত্রখচিত লাল সূর্য বুকে নেওয়া বাংলাদেশের পতাকা ধরা। নিজের দেশের পতাকা নিয়ে অধিনায়ক ও সহ–অধিনায়কের সঙ্গে মাঠ প্রদক্ষিণ করছেন দলটার বাকি খেলোয়াড়েরা। পেছনে বেজে চলছে, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...।’

মাঠে আসা বাঙালিরা পিন্টু-প্রতাপদের হাতে ধরা পতাকাটায় চুমু এঁকে দিচ্ছেন। কাঁদছেন হাউমাউ করে। এমন স্বর্গীয় দৃশ্য উপভোগ করার সময়ে নিজের বরখাস্ত হওয়ার খবরটাকেও মামুলি মনে হয়। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের কান্না দেখে সেদিন নিজের চোখ দিয়েও অজান্তে আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়ে ডি কে ঘোষের।

পরিশিষ্ট: নদীয়া জেলা একাদশের বিপক্ষে সে ম্যাচে কেউ জেতেনি, ড্র হয়েছিল ২-২ গোলে। বাংলাদেশের হয়ে গোল করেছিলেন ‘সাগর’ ও এনায়েত। দেশের জন্য বাইরে খেলতে এসেছেন দেখে দেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে থাকা পরিবারের সদস্যরা যাতে পাকিস্তানি বাহিনীর জিঘাংসার শিকার না হন, এ জন্য অনেক খেলোয়াড়ই তখন নাম পরিবর্তন করে খেলতেন। রহমতগঞ্জ, ইস্ট এন্ড ও দিলকুশার রাইট উইঙ্গার মোহাম্মদ শাহজাহান ছিলেন তেমনই একজন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে খেলেছিলেন ‘সাগর’ নামে। মূল একাদশে ছিলেন না, দ্বিতীয়ার্ধে দলের সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শংকর হাজরার জায়গায় নেমেই বাজিমাত করেন। ২-৩ জনকে কাটিয়ে দলের প্রথম গোল করেন শাহজাহান। পরের গোলটা আসে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংয়ের মিডফিল্ডার এনায়েতুর রহমান খানের পা থেকে।

বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে অধিনায়ক ও সহ–অধিনায়কের সঙ্গে মাঠ প্রদক্ষিণ করছেন স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের বাকি খেলোয়াড়েরা।

সব ছাপিয়ে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের প্রথম ম্যাচটা স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে আছে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত বাজানো ও নদীয়ার সেই জেলা প্রশাসকের বদান্যতার কারণেই। পরে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলে ডি কে ঘোষ ফিরে পান হারানো চাকরি।

তথ্যসূত্র: খেলার মাঠে মুক্তিযুদ্ধ—দুলাল মাহমুদ