হার্নান্দেজের শট রিয়ালের জালে জড়ায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার মিনিট দু-এক আগে। সেভিয়া সমর্থকেরা তখন মুহূর্তের জন্য উল্লাস করে ওঠে। কিন্তু স্বাগতিকদের উদ্যাপন থেমে যায় অফসাইডের বাঁশিতে।
বলের দখলে একটা সময় পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে থাকলেও শেষদিকে এসে বলের দখল নিয়ে খেলে সেভিয়া। তাতে অবশ্য কাজের কাজ কিছু হয়নি। বেনজেমার একমাত্র গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। লা লিগায় এক ম্যাচ পর আবারও জয়ে ফিরল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১৫ সালের পর সেভিয়ার মাঠে আর জেতা হয়নি রিয়াল মাদ্রিদের।
লিগে এই ম্যাচের আগে শেষ ১৭ ম্যাচেই নিজেদের মাঠে রিয়ালের বিপক্ষে গোল পেয়েছে সেভিয়া। সবশেষ ২০০২ সালে সেভিয়ার মাঠে নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পেরেছিল রিয়াল।
প্রথমার্ধে রিয়াল মাদ্রিদ গোলের সুযোগ পেয়েছে বেশ কটি। একটিও অবশ্য কাজে লাগেনি। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৪ মিনিটে বেনজেমার হেডে সেভিয়ার জালে বল জড়ালে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় জিদান শিষ্যরা। কার্বাহালের হাওয়ায় ভাসানো বলে মাথা ছোঁয়ান বেনজেমা।
এর আগে প্রথমার্ধেই গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন হ্যাজার্ড। বেনজেমার কাছ থেকে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন তিনি। ৩৫ মিনিটে তাঁর শটটাও ছিল ঠিকঠাক। সেভিয়ার গোলরক্ষক দেয়াল হয়ে না দাঁড়ালে তখনই গোল পেত রিয়াল। মিনিট চারেক পর আবারও সেভিয়াকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক। এবার কার্বাহালের শট রুখে দেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে বেনজেমার গোলের পর সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ নষ্ট করে সেভিয়াও। ৬৯ মিনিটে ওকাম্পসের শট বারের ওপর দিয়ে না গেলে সমতায় ফিরত স্বাগতিকেরা। তবে গোল হজম করে রিয়ালের রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ চালায় সেভিয়া। তবে ম্যাচে রামোস ছিলেন দুর্দান্ত। সেভিয়ার ভালো কিছু আক্রমণ ট্যাকল দিয়ে নিজেদের জাল অক্ষত রাখায় ভূমিকা রাখেন রামোস।
এ জয়ে লা লিগা পয়েন্ট টেবিলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে আসে রিয়াল মাদ্রিদ। সমান পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে অ্যাথলেটিকো বিলবাও। আর ১০ পয়েন্ট নিয়ে রিয়ালের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে গ্রানাডা। তালিকায় ৮ নম্বরে আছে কাতালান ক্লাব বার্সেলোনা। বার্সার ঝুলিতে আছে ৭ পয়েন্ট।