>গত দুই বছর নিজের মান অনুযায়ী প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স না করতে পারার কারণ হিসেবে বিভিন্ন চোট ও ব্যক্তিগত সমস্যাকে দায়ী করেছেন নেইমার
অথচ এককালে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর বিশ্বের সবচেয়ে ভালো ফুটবলার হিসেবে নেইমারকে স্বীকার করতেন সবাই। এমনকি একবার আক্ষরিক অর্থেই মেসি-রোনালদোর পর বিশ্বের সেরা ফুটবলার হওয়ার লড়াইয়ে তৃতীয় হয়ে মানুষের ধারণাকেই সত্য প্রমাণ করেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা, সেই ২০১৫ সালের কথা সেটা। কিন্তু এরপর মেসি-রোনালদোকে টপকে ফুটবলের পরবর্তী রাজা হয়ে ওঠা হয়নি তাঁর।
কেন? নিজের ব্যর্থতায় ফিরে তাকাতে গিয়ে চোট আর ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যাকেই দায়ী করেছেন নেইমার।
ভোগ আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার জানিয়েছেন, ‘একজন পেশাদার ক্রীড়াবিদের জন্য চোটের চেয়ে বাজে জিনিস আর হতে পারে না। গত দুই বছর ধরে আমি বেশ কিছু চোটের সঙ্গে লড়াই করেছি, করছি। মাঝে মাঝে নিজের সামর্থ্য নিয়ে নিজেই সন্দিহান হয়ে যাই।’
কয়েক মাস আগে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বাস্কেটবল তারকা কোবি ব্রায়ান্ট এবং তাঁর মেয়ে। ব্রায়ান্টের মৃত্যুতে আরও বেশি ভেঙে পড়েছিলেন তিনি, জানিয়েছেন নিজেই, 'ব্রায়ান্টের সঙ্গে আমি আমার জীবনের অনেক মিল খুঁজে পেতাম। ওর মৃত্যু আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়ে যায়। আপনি যখন একজন খেলোয়াড়ের মধ্যে বাস করা সত্যিকার মানুষটাকে চিনবেন, এটা অন্য ধরনের এক সম্পর্কের সৃষ্টি করে। কোবির সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ঠিক তেমনই ছিল। আমি মনে করি, ক্রীড়াঙ্গন ও আমাদের সমাজ উভয়েই একজন অসাধারণ মানুষকে হারিয়েছে।'
কোবি যে নেইমারের হৃদয়ের কত বড় অংশ জুড়ে আছেন, সেটা বোঝা গিয়েছিল বাস্কেটবল তারকার মৃত্যুর ঠিক পরপরই। সে দিন পিএসজি-লিল ম্যাচ চলার সময়েই খবর আসে ব্রায়ান্টের নিহত হওয়ার। এর আগেই ফ্রিকিক থেকে পিএসজির ২-০ গোলের জয়ের প্রথমটি করে ফেলেছিলেন নেইমার। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোলটি করার পর নেইমার এক হাতে দুটি ও অন্য হাতের চারটি আঙুল উঁচিয়ে ধরেন। লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্সে ব্রায়ান্ট ২৪ নম্বর জার্সি পরতেন সেটিই যেন সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন নেইমার।
ম্যাচের পর টেলিভিশন চ্যানেল ক্যানাল প্লাসকে নেইমার বলেছিলেন, ‘বিরতির সময়ে খবরটা শুনি। শুধু বাস্কেটবল সমর্থকদের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য খুব বেদনাদায়ক সময় এখন।’
ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণেই বেশি মুষড়ে পড়েছিলেন নেইমার, ‘আমি তাঁকে চিনতাম। (এভাবে) উদ্যাপনটা তাঁর জন্যই। চির শান্তিতে থাকুন তিনি।’