সুযোগ না থাকলে উঠানেই শরীরচর্চা

নারী ফুটবলারদের ফিটনেসের যত্ন নিতে বললেন কোচ। ফাইল ছবি
নারী ফুটবলারদের ফিটনেসের যত্ন নিতে বললেন কোচ। ফাইল ছবি

করোনাকালে খেলাধুলা বন্ধ। এই অবস্থায় ফিটনেস ধরে রাখতে নারী ফুটবলাদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী।

গতকাল এক ভিডিও বার্তায় কোচ বলেছেন, ‘মেয়েদের যার বাড়িতে যতটুকু সুযোগ আছে শরীরচর্চার, সেটুকু কাজে লাগাতে সবাইকে নির্দেশ দিয়েছি। বাড়ির যে উঠান আছে, সেখানে ওয়ার্মআপ, রানিং এবং ব্যয়াম করতে বলেছি। তাতে ফিটনেস লেভেল একটু ভালো থাকবে। করোনা সমস্যা কেটে যাবে। সেপ্টেম্বরের পর আবার মেয়েরা খেলায় ফিরতে পারবে, আশা করছি।’

এ বছর অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ আছে বাংলাদেশের সামনে। অবশ্য টুর্নামেন্ট দুটির ভবিষ্যত আপাতত অন্ধকারে ঢাকা। এ বছর না হওয়ার শঙ্কাই বেশি। তবে খেলা হোক না হোক, কোচ চান মেয়েরা ফিটনেস যেন ধরে রাখে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা গত দুই থেকে তিন বছর মাঠে ভালো পারফরম্যান্স করেছে। ভালো অর্জনও আছে তাদের। ভবিষ্যতেও তারা ভালো খেলবে, আশা করছি। এ জন্য ফিটনেস ধরে রাখতে হবে।’

দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় গত ৮ মার্চ। তবে ঢাকায় নারী ফুটবলারদের অনুশীলন হয়েছে ১৭ মার্চ পর্যন্ত। এরপরই সব বন্ধ। ছেলেদের পুরো মৌসুমই বাতিল করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তবে মেয়েদের লিগ বাতিল করা হয়নি। এখনো আশা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নারী লিগের অবশিষ্ট অংশ মাঠে গড়াবে। সংকটময় সময়েও কোচ গোলাম রব্বানী সামনে তাকাচ্ছেন। তাঁর কথা, ‘আমরা নিয়মিত সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। সবার ফিটনেস ধরে রাখতে নানা উপদেশ দিচ্ছি। হয়তো মেয়েরা শারীরিকভাবে ঢাকায় ক্যাম্পে নেই। তবে ভার্চ্যুয়ালি আমরা যোগাযোগের মধ্যেই আছি।’

কোচের মনে শঙ্কাও কম নয়। বাড়িতে অনুশীলনবিহীন অবস্থায় অতীতে ফিটনেস হারিয়ে ফেলার অভিজ্ঞতা আছে খেলোয়াড়দের। সেটা মাথায় রেখে কোচ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বাড়িতে ১৫ দিন থাকলেই সবার ফিটনেস কমে যায়। তিন মাস হতে চলল মেয়েরা অনুশীলনে নেই। ফিটনেস অবশ্যই কমেছে তাদের।’ এরপর যোগ করেন, ‘করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি। সবাই আতঙ্কে আছে। আমরাও মানসিকভাবে আতঙ্কে। তবে এর নেতিবাচক প্রভাব মেয়েদের মধ্যে যেন না পড়ে, সে জন্য তাদের প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।’