>টানা তৃতীয়বারের মতো আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়া হল না লিভারপুলের মিসরের উইঙ্গার মোহাম্মদ সালাহর। এবার এই সম্মান পেয়েছেন তাঁরই ক্লাব সতীর্থ সাদিও মানে। এই সম্মান অর্জনের দৌড়ে মানে সালাহ ছাড়াও পেছনে ফেলেছেন রিয়াদ মাহরেজ, কালিদু কুলিবালি, পিয়েরে এমেরিক-অবামেয়াং এর মতো তারকাদের
এর আগে তিনবারের চেষ্টায় এ পুরস্কারটা পাননি। দুইবার ক্লাব-সতীর্থ মোহাম্মদ সালাহ এর কাছে হেরে রানার্স আপ হয়েছিলেন, একবার হয়েছিলেন তৃতীয়। কিন্তু এবার আর পুরস্কার হারানোর যন্ত্রণায় পুড়তে হয়নি সাদিও মানে কে। আফ্রিকার সেরা ফুটবলারের পুরস্কারটা হাতে নিয়েই ছেড়েছেন এই সেনেগালিজ তারকা।
৪৭৭ পয়েন্ট পেয়ে পুরস্কারটা জিতেছেন এ উইঙ্গার। তাঁর থেকে বেশি পয়েন্ট পেয়ে এই পুরস্কার জেতার কৃতিত্ব আছে শুধু সালাহর। সালাহ এবার ৩২৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। ২৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির আলজেরীয় উইঙ্গার রিয়াদ মাহরেজ। ২০১৬ সালে আফ্রিকার বর্ষসেরা হয়েছিলেন মাহরেজ।
সালাহ আর মাহরেজ ছাড়াও এ পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন— পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াং (স্ট্রাইকার, গ্যাবন, আর্সেনাল), কালিদু কুলিবালি (সেন্টারব্যাক, সেনেগাল, নাপোলি), হাকিম জিয়েখ (মিডফিল্ডার, মরক্কো, আয়াক্স), আশরাফ হাকিমি (লেফটব্যাক, মরক্কো, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), ইদ্রিসা গানা গেয়ে (মিডফিল্ডার, সেনেগাল, পিএসজি), নিকোলাস পেপে (উইঙ্গার, আইভোরি কোস্ট, আর্সেনাল), আন্দ্রে ওনানা (গোলরক্ষক, ক্যামেরুন, আয়াক্স), নাবি কেইটা (মিডফিল্ডার, গিনি, লিভারপুল), ইসমাইল বেনেসার (মিডফিল্ডার, আলজেরিয়া, এসি মিলান), টমাস পার্টি (মিডফিল্ডার, ঘানা, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), উইলফ্রিয়েড এনদিদি (মিডফিল্ডার, নাইজেরিয়া, লেস্টার সিটি), উইলফ্রিয়েড জাহা (উইঙ্গার, আইভরি কোস্ট, ক্রিস্টাল প্যালেস) প্রমুখ।
সেনেগালের ইতিহাসের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে আফ্রিকা-সেরা হলেন মানে। এর আগে ২০০১ ও ২০০২ সালে দুবার আফ্রিকার বর্ষসেরা হয়েছিলেন সেনেগালের এল হাজি দিউফ। তিনিও এক সময়ে লিভারপুলে খেলতেন।
গত মৌসুমে ৬১ ম্যাচ খেলে ৩৪ গোল আর ১২ অ্যাসিস্ট ছিল মানের। লিভারপুলকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে সাহায্য করেছেন। এ ছাড়াও এই মৌসুমে জিতেছেন ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা। জাতীয় দলের হয়ে একটুর জন্য আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের শিরোপাটা জেতা হয়নি তাঁর। ২০১৮ সালে রানার্সআপ হয়েছিল সেনেগাল।
গত কাল এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে মিসরের হারগাদা শহরে। নিজের শহরে তৃতীয়বারের মতো আফ্রিকা সেরার পুরস্কার হাতে না পাওয়ার কষ্ট সালাহকে পুড়িয়েছে কি না, কে জানে। যদিও ইনস্টাগ্রামে নিজের ক্লাব-সতীর্থ মানেকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি এই তারকা।