>সার্জিও রামোসের ট্যাকলে মোহাম্মদ সালাহর বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা। মিসরীয় এক আইনজীবী রামোসের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের শেষ বাঁশি বাজার ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। তবুও শেষ হচ্ছে না তার রেশ। মূলত জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আগুনে উত্তাপ ছড়িয়ে যাচ্ছে মোহাম্মদ সালাহর ইনজুরি। রিয়েল মাদ্রিদের অধিনায়ক সার্জিও রামোসের ট্যাকলে লিভারপুলের প্রাণভোমরাকে শুধু মাঠ ছেড়ে বেরই হয়ে যেতে হয়নি, মিসরের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বয়ে যাচ্ছে ঝড়।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যন্ত আর নেই। মিসরীয় এক আইনজীবী তো রামোসের বিরুদ্ধে ঠুকে দিয়েছেন ক্ষতিপূরণ মামলাও। অঙ্কটা আবার ১ বিলিয়ন ইউরোর বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। এর আগে রামোসের বিরুদ্ধে প্রায় তিন লাখ মানুষের স্বাক্ষরিত একটি পিটিশন জারি হয়েছে। বুঝুন তাহলে কত দূর গড়িয়েছে বিষয়টি।
২৮ বছর পর মিসরকে বিশ্বকাপে নিয়ে গেছেন সালাহ। লিভারপুলের এই উইঙ্গারকে নিয়েই মিসরীয়দের এখন যত বিশ্বকাপ স্বপ্ন। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে কাঁধের ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়ায়, এখন তাঁর বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কা। ফলে মিসরীয় সমর্থকেরা মুণ্ডুপাত করে যাচ্ছেন রামোসের। আইনজীবী বাসেম ওয়াহবা এত অল্পতে থামেননি, ঠুকে দিয়েছেন মামলা।
মিসরীয় টেলিভিশন চ্যানেল সাদা আর-বালাদের এক অনুষ্ঠানে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওয়াহবা। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে সালাহকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতি করা হয়েছে বলে ওয়াহবার অভিযোগ, ‘সালাহকে ইচ্ছাকৃতভাবে চোটে ফেলেছেন রামোস। এ জন্য তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত। আমি একটি মামলা করেছি। আর ফিফার কাছে অভিযোগও করেছি। সালাহ ও মিসরীয় জনগণকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যথিত করার অপরাধে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছি, যার পরিমাণ ১ বিলিয়ন ইউরোর বেশি।’
রামোসকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কি না, তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে। কিন্তু তাঁকে যে সহসাই মিসরীয়রা ছেড়ে দেবে না, তা নিশ্চিত।