এক পক্ষের আশা নীরব ভোট বিপ্লবের, দেশের ফুটবল নেতৃত্বে পরিবর্তনের; অন্যদিকে কাজী সালাউদ্দিনের প্রত্যাশা টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি হওয়ার। নির্বাচনে সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বাফুফের প্রাক্তন সহসভাপতি ও সাবেক ফুটবলার বাদল রায়। অসুস্থতার কথা বলে প্রথমে সরে দাঁড়ালেও গতকাল রাতে আবার নিজের প্রার্থিতার দাবি জানিয়েছেন বাদল রায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে আরও দাঁড়িয়েছিলেন সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম (মানিক)। শেষ পর্যন্ত টানা চতুর্থবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। আজ বাফুফে নির্বাচনে ৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়ে আরও চার বছরের জন্য দেশের ফুটবলের অভিভাবক বনেছেন কাজী সালাউদ্দিন।
চতুর্থ মেয়াদে সভাপতি হওয়ার পথে সালাউদ্দিন ভোট পেয়েছেন ৯৪টি। তাঁর অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল ৪০ ও শফিকুল পেয়েছেন একটি। নির্বাচনে মোট ভোট ছিল ১৩৯টি। এর মধ্যে জেলা ও বিভাগের ভোট ছিল ৭২টি। মোট ১৩৯ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৩৫টি। সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ থেকেই জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হয়েছেন সালাম মুর্শেদী। একই প্যানেল থেকে এসেছে তিনজন সহসভাপতিও।
২০১৬ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হয়েছিলেন সালাম মুর্শেদী। জাতীয় দলের সাবেক তারকা এই স্ট্রাইকারকে এবার ভোটের লড়াইয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন সমন্বয় পরিষদের আরেক সাবেক তারকা স্ট্রাইকার শেখ মোহাম্মদ আসলাম। মাঠের খেলায় আসলাম সালামের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও ভোটের লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন সালাম মুর্শেদী। ৯১ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হয়েছেন তিনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আসলাম পেয়েছেন ৪৪ ভোট।
সহসভাপতি পদে আটজনের মধ্যে জোর লড়াইয়ের আভাস ছিল। হয়েছেও তাই। চার সহসভাপতির তিনজন এসেছে সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ থেকে। ৮১ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সহসভাপতি হয়েছেন কাজী নাবিল আহমেদ। নতুনে সহসভাপতি হয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান ও আতাউর রহমান। সহসভাপতি পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন ইমরুল, ৮৯টি। ৭৫ ভোট পেয়েছেন আতাউর। তবে চার নম্বর সহসভাপতি কে? ৬৫ ভোট পেয়ে সমতায় বর্তমান দুই সহসভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ও তাবিথ আওয়ালের লড়াই। ৩১ অক্টোবর এই দুইজনের মধ্যে আবার অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।