জয় ছাড়া তাঁরা কিছু ভাবছেন না, এমনটাই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ রবার্ট মার্টিন রায়েলস। কোচের ধারাতেই ভেবেছে বাংলাদেশের কিশোররা। তাই সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে মাঠে নেমে ভুটানকে ৫-২ গোলে হারাতে কোনো কষ্ট হয়নি বাংলাদেশের।
পশ্চিম বাংলার নদীয়া জেলার কল্যাণী স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় ভুটানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের প্রথম দিন ভুটানকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আজ হেরে যাওয়ায় ভুটানের বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়েই গেল। টুর্নামেন্টে খেলছে সাফের ৫টি দেশ বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা। ভারতও প্রথম দিনে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে নেপালকে।
১৫ মিনিটে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেয় মিরাদ। ২ মিনিট পরেই অবশ্য ম্যাচে ফিরে এসেছে ভুটান। ফুবের গোলের আনন্দ অবশ্য মিনিট চারেকের বেশি স্থায়ী হয়নি। গোলমুখে জটলা থেকে গোল করে বাংলাদেশকে আবার এগিয়ে নেয় রহমান। ৩২ মিনিটে নাটক জমে ওঠে আবার। গোলরক্ষকে অমার্জনীয় এক ভুলে ম্যাচে ফিরেছে ভুটান। শট নিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকার চুজাংইয়ের পায়ে সরাসরি বল তুলে দিয়েছিল গোলরক্ষক সাব্বির। এমন উপহার পায়ে ঠেলেনি ভুটান। প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে সরকারের পারফেক্ট নম্বর নাইনের মতো করা গোলে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময় দুই দলই সুযোগ সৃষ্টি করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না। বাংলাদেশেরই প্রাধান্য ছিল বেশি। যখন মনে হচ্ছিল ৩-২ স্কোরলাইন নিয়েই ম্যাচ শেষ হবে, তখন ব্যবধান বাড়িয়েছে মিরাদ। গোলটা মিরাদের হলেও পুরো কৃতিত্ব আরিফের। মাঠের বাঁ প্রান্তে তার পাসিংয়েই প্রথমে বল হারিয়েছিল ভুটান। সেটা এক পা ঘুরে আরিফের পায়ে আসতেই বাঁ পায়ের মায়াজালে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে ডি–বক্সে ঢুকে পড়ে। আলামিনের পা ঘুরে আসা বলে শুধু পা ছুঁয়েই বাকি কাজ সেরেছে মিরাদ। যোগ করা সময়ে ডি–বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি–কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেছে বদলি নামা বাবু।
২৫ আগস্ট দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ২৭ আগস্ট নেপাল এবং ২৯ আগস্ট স্বাগতিক ভারত। এই ভারতের সঙ্গেই বড় পরীক্ষাটা বাংলাদেশের। তার আগের তিনটি ম্যাচ জিতলে ফাইনালে ওঠার রাস্তায় থাকবে বাংলাদেশ। লিগ ভিত্তিতে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দুটি দলের ফাইনাল ৩১ আগস্ট। ২০১৫ সালে সিলেটে (অনূর্ধ্ব-১৬) প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-সবুজের দল। ২০১৮ সালেও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন।