প্রথম লেগে এগিয়ে থাকল সিটিই
প্রথম লেগে এগিয়ে থাকল সিটিই

সাত গোলের রোমাঞ্চে সিটির জয়

ম্যানচেস্টার সিটির কপাল ভালো, উয়েফা 'অ্যাওয়ে গোল'-এর নিয়মটা বাতিল করেছে। না হয় আজ রিয়াল মাদ্রিদকে নিজেদের মাঠে ৪-৩ গোলে হারানোর ম্যাচে চার গোল দেওয়া সিটির চেয়ে তিন গোল দেওয়া রিয়ালই স্বস্তিতে থাকত বেশি!

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের মতো পর্যায়ে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে তিন-তিনটি অ্যাওয়ে গোল পাওয়া যে চাট্টিখানি কথা নয়!

স্কোরলাইনটা অবিশ্বাস্য

তা যাই হোক, অ্যাওয়ে গোলের নিয়ম না থাকার যুগে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ শেষে আপাতত ম্যানচেস্টার সিটিই রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে এগিয়ে। তবে রিয়াল মাদ্রিদও যে খুব বেশি পিছিয়ে থাকল, সেটা নয়। দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আজ সিটি জিতল ৪-৩ গোলে।

৯০ মিনিটের টানটান উত্তেজনার এক সিনেমাই মঞ্চস্থ হলো যেন ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। যার মূল কুশীলব করিম বেনজেমা থেকে শুরু করে গ্যাব্রিয়েল জেসুস, কেভিন ডে ব্রুইনা, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, বের্নার্দো সিলভা, ফিল ফোডেন - প্রত্যেকে!

ম্যাচের দুই মিনিটেই কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। ১১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ব্রাজিলের স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ৩৩ মিনিটে রিয়ালের হয়ে ব্যবধান কমান করিম বেনজেমা। ২-১ স্কোরলাইন নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল কমেনি, বরং আরও বেড়েছে। ৫৩ মিনিটে ফিল ফোডেনের গোলে সিটি এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে। ঠিক দুই মিনিট পর গোল করে ব্যবধান কমান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।

আজ হ্যাটট্রিক না পেলেও, জোড়া গোল করেছেন বেনজেমা

৭৪ মিনিটে বের্নার্দো সিলভার গোলে আবারও এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। ৮২ মিনিটে বেনজেমার পেনাল্টি গোলে আবারও ব্যবধান কমায় রিয়াল। ম্যাচে আর কোনো গোল হয়নি। তবে দ্বিতীয় লেগ যেহেতু রিয়ালের মাঠে, তাই এ ম্যাচে ৪-৩ গোলে হারলেও রিয়াল খুব বেশি হতাশ হয়তো হবে না।