>বহু বছর ধরেই বায়ার্নের আক্রমণভাগের ভরসা হয়ে আছেন আরিয়েন রোবেন ও ফ্রাঙ্ক রিবেরি। এই মৌসুমের পর আর বায়ার্নের জার্সি গায়ে তাদের দেখা যাবে না, জানিয়ে দিয়েছে বায়ার্ন।
পরবর্তী ‘জিদান’ বলে খ্যাত ফরাসি তারকা ফ্রাঙ্ক রিবেরিকে সেই ২০০৭ সালে নিজেদের ঘরে এনেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। যদিও ডাচ তারকা আরিয়েন রোবেনের বায়ার্ন-আগমন আরও দুই বছর পরে। কিন্তু তখন থেকেই বায়ার্নের আক্রমণভাগের মূল ভরসা এই দুজন। বায়ার্নকে এই এক দশকে তারা অনেক শিরোপা জিতিয়েছেনও। কিন্তু সময়ের ফেরে বায়ার্নে এই রোবেন-রিবেরি অধ্যায়ও শেষ হয়ে যাচ্ছে। বায়ার্ন প্রেসিডেন্ট উলি হোয়েনেস ঘোষণা দিয়েছেন, এই মৌসুমটাই হতে যাচ্ছে বায়ার্নের জার্সি গায়ে এই দুই মহারথীর শেষ মৌসুম।
২০০৭ সালে ২৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ফরাসি ক্লাব মার্শেই থেকে বায়ার্নে আসেন রিবেরি। একে একে বায়ার্নে বারো বছর কাটানো রিবেরি এই সময়ে ২৫৯ ম্যাচ খেলে করেছেন ৮০ গোল। ওদিকে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে একই দামে ২০০৯ সালে রোবেনকে নিয়ে আসে বায়ার্ন। বায়ার্নের হয়ে অভিষেকেই জোড়া গোল করা রোবেন বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বায়ার্নের জার্সি গায়ে ৩০৫ ম্যাচে ১৪৩ গোল করেছেন, গোল সহায়তা ১০১ টা। এই সময়ে দুজন বায়ার্নকে সাতবার লিগ জিতিয়েছেন, ২০১৩ সালে জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগও। বায়ার্নকে চারবার জার্মান কাপ, পাঁচবার জার্মান সুপার কাপ ও একবার উয়েফা সুপার কাপের শিরোপাও এনে দিয়েছেন তারা।
গত দুই বছর ধরেই রিবেরি আর রোবেনের ফর্ম আগের মতো ছিল না। মাঝে মাঝে আগের ঝলক দেখা গেলেও নিয়মিত দলকে টানার সামর্থ্য ছিল না তাদের। এটা বায়ার্ন কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরেছিল, তাই গত দুই মৌসুমে কিংসলে কোমান, হামেস রদ্রিগেজ, সার্জ ন্যাব্রি, কোরেন্তিন তলিসোদের মতো প্রতিভাদের এনে পরিচর্যা করা শুরু করে দিয়েছিল, যেন রোবেন-রিবেরি যাওয়ার পরেই তারা বায়ার্নের হাল ধরতে পারে। সে সময়টা চলে এসেছে। গতকাল দক্ষিণ জার্মানিতে বসবাসরত বায়ার্ন মিউনিখ সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বায়ার্ন প্রেসিডেন্ট উলি হোয়েনেস ঘোষণা করেছেন, রোবেন-রিবেরির দিন শেষ।