সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় নিয়ে সেমিফাইনালে শেখ জামাল। ২১ নভেম্বর প্রথম সেমিফাইনালে আবাহনী লিমিটেডের মুখোমুখি হবে তারা।
সেইনি বোজাং এখন তাহলে পরিণত! গত মৌসুমে শেখ জামাল ধানমন্ডিতে খেলতে এসেছেন গাম্বিয়ান এই স্ট্রাইকার। কিন্তু ১৮ বছর পূরণ না হওয়ায় এই স্ট্রাইকারের নাম নিবন্ধন করতে পারেনি ধানমন্ডির ক্লাবটি। দলের খাতায় নাম তুলেছেন এবারই। দলে যোগ দিয়েই শেখ জামালকে নিয়ে গেলেন ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে। আজ তাঁর জোড়া গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে জামাল।
কাল আবাহনী লিমিটেড-আরামবাগের উপভোগ্য কোয়ার্টার ফাইনালের পর আজ দ্বিতীয় শেষ চারের লড়াইটিও হয়েছে বেশ জমজমাট। গোল, পাল্টা গোলে সমতা। আবার এগিয়ে গিয়ে জয় নিয়ে শেখ জামালের মাঠ ছাড়া। মূলত গাম্বিয়ান সলোমন কিং ও সেইনি বোজাং জুটির কাছেই হেরে গিয়েছে সাইফ। স্বদেশি বোজাংকে দিয়েই দুটি গোল করিয়েছেন জামালের অধিনায়ক সলোমন। ভিআইপি গ্যালারিতে বসেই শিষ্যদের মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়ে আসা দেখলেন সাইফের নতুন কোচ জোনাথন মেকেন্সট্রি। আজ ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন সহকারী কোচ তানজিনিয়ান ড্যানিস কিতাম্বি।
২৯ মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। কিংয়ের এরিয়াল থ্রু অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় জালে জড়িয়ে ১-০ করেন বোজাং। দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটে বোজাংয়ের পাস থেকে ২-০ করতে পারতেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লুসিয়ানো এমানুয়েল পেরেজ। সাইফ গোলরক্ষক জিয়াউর রহমানকে কাটানোর পর গোলমুখে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা পেরেজের উদ্দেশে বল বাড়িয়েছিলেন, কিন্তু আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার ঠিকমতো বল নিয়ন্ত্রণই করতে পারলেন না।
উল্টো ৭১ মিনিটে ড্যানিয়ের আন্দ্রেস কর্দোভার দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফেরে সাইফ। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে জোরালো শটে গোলটি করেছেন কর্দোভা। সমতায় ফেরার আনন্দ স্থায়ী ছিল মাত্র ৫ মিনিট। এর পরেই আবার সলোমন-বোজাংয়ের দুর্দান্ত রসায়ন। ডান প্রান্ত থেকে আলোড়নের ক্রস দূরের পোস্ট থেকে হেডে বল জালে জড়িয়েছেন বোজাং। গাম্বিয়ান এই স্ট্রাইকারকে সাইফের কোনো ডিফেন্ডার মার্ক করারই প্রয়োজন বোধ করেননি। যার মূল্য চুকোতে হয়েছে শেষ পর্যন্ত ফেডারেশন কাপ থেকে বিদায় নিয়ে।