কুতিনহো-বিতর্ক মাথায় নিয়ে ওয়াটফোর্ডের মাঠ ভিকারেজ রোডে এসেছিল লিভারপুল। নিজেই নাকি দলবদলের ‘আরজি’ নিয়ে হাজির হয়েছেন ব্রাজিলের প্লে-মেকার। বার্সা নিশ্চয়ই এবার কোমর বেঁধে নামবে তাঁকে দলে নিতে। স্পটকিক ব্যর্থতার মাশুল গুনে শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ক্লপ-বাহিনী, ওয়াটফোর্ডের সঙ্গে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ড্র করেছে ৩-৩ গোলে।
কুতিনহোর অনুপস্থিতে ইয়ুর্গেন ক্লপ আক্রমণ সাজিয়েছিলেন মানে, সালাহ আর ফিরমিনোকে নিয়ে। ওদিকে গত মৌসুমে ওয়াটফোর্ড মূল তারকা এতিয়েন কাপু ছিলেন বেঞ্চে।
লিভারপুলের শিরোপা অভিযানে শুরুতেই ধাক্কা দিল ওয়াটফোর্ড। ম্যাচের ৮ মিনিটে জোসে হোলেবাসের কর্নার কিক থেকে গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দিয়েছেন স্টেফানো ওকাকা। কিন্তু ২৯ মিনিটে প্রায় একক নৈপুণ্যে অল রেডদের সমতায় ফিরিয়েছেন ফরোয়ার্ড সাদিও মানে।
আনন্দটা স্থায়ী হলো মাত্র ৩ মিনিট। ৩২ মিনিটে আবারও ওয়াটফোর্ডকে এগিয়ে দেন আবদুলে ডোকোরে, এবার কাউন্টার অ্যাটাকে। ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লিভারপুল।
৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে আবারও সমতা ফেরান আরেক ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনো। পেনাল্টি এনে দেওয়ার কৃতিত্ব অবশ্য মোহামেদ সালাহর। তাঁকে আটকাতে গিয়েই পেনাল্টি দিয়েছেন ওয়াটফোর্ড গোলরক্ষক। সালাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই ৩ মিনিট পরে প্রতিদান দিলেন ফিরমিনো। বাঁ প্রান্ত থেকে তাঁর পাস থেকেই গোল করেন অভিষিক্ত সালাহ, প্রথমবারের মতো ম্যাচে এগিয়ে যায় ক্লপের শিষ্যরা। কিন্তু ম্যাচের ৯৩ মিনিটে গোলরক্ষক মিনোলেতের ভুল। ব্রিটোসের গোলে শেষবারের মতো ম্যাচে সমতা ফেরায় ওয়াটফোর্ড।
গতকাল আর্সেনাল ও লেস্টার সিটির ম্যাচ শেষ হয়েছিল ৪-৩ স্কোরলাইন নিয়ে। প্রথম দুই ম্যাচেই ১৩ গোল, এবারের প্রিমিয়ার লিগ শুরুতেই জমে গেছে!