সবকিছু শুরু হয়েছিল ছোট্ট একটা তথ্য থেকে। সেই ছোটবেলা থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের ভক্ত ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়ালের জার্সি পরা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পোস্টার সাঁটা কক্ষে স্বপ্নালু চোখে শিশু এমবাপ্পের সে ছবিটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে কার না দেখা!
ব্যস, রিয়ালের প্রতি তাঁর আজীবন অনুরাগের সঙ্গে আস্তে আস্তে যুক্ত হতে থাকল খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর অমিত প্রতিভার গল্পগুলো। রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবের আগ্রহী হতে আর কী লাগে!
গত পাঁচ বছর ধরে রিয়াল মাদ্রিদও এমবাপ্পেকে পাওয়ার জন্য সম্ভব সব রকম চেষ্টাই করে গিয়েছে। এমবাপ্পেও আকারে-ইঙ্গিতে রিয়ালের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেছেন বিভিন্নভাবে।
কিন্তু দুই পক্ষের এই ভালোবাসাবাসির মধ্যে যে তৃতীয় এক পক্ষও ছিল! যারা ঐতিহ্যগত দিক দিয়ে রিয়ালের চেয়ে যোজন-যোজন পিছিয়ে থাকলেও সে অভাবটা ঘুচিয়েছে অর্থের ঝনঝনানিতে। শেষমেশ সেই পিএসজিরই জয় হয়েছে। এমবাপ্পে রিয়ালে যোগ না দিয়ে থেকে গেছেন পিএসজিতে।
পিএসজিতে থেকে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েই যেন এমবাপ্পের মুখের আগল খুলেছে। নিয়মিত এখানে-সেখানে সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়াচ্ছেন। সম্প্রতি তেমনই এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইতালির ক্রীড়া পত্রিকা লা গাজেত্তা দেল্লা স্পোর্তকে। সেখানে জানিয়েছেন, শুধু রিয়ালই নয়, ছোটবেলায় এসি মিলানকেও ভালোবাসতেন তিনি।
এসি মিলানের প্রতি অনুরাগের শুরুটা কীভাবে? শুনে নিন এমবাপ্পের কাছ থেকেই, 'এসি মিলানের সঙ্গে আমার বিশেষ সম্পর্ক আছে। ছোটবেলায় আমার দেখভাল যিনি করতেন, তিনি ইতালিয়ান ছিলেন, তাঁর পুরো পরিবার এসি মিলান সমর্থন করত। তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমি অনেক সময় কাটাতাম। আমিও তাঁদের দেখাদেখি মিলানকে সমর্থন করতাম, মিলানের প্রচুর ম্যাচ দেখতাম।'
মিলানের সঙ্গে টানটা এতই বেশি ছিল, যে ইতালিতে খেললে মিলানের খেলারই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড, ‘আমি সব সময়ই বলে এসেছি, আমি যদি কখনো ইতালিতে খেলি, এসি মিলানের হয়েই খেলব। অন্য কোনো ক্লাবের হয়ে খেলতে চাইলে হয়তো ওরা আমাকে মেরেই ফেলত!'
১১ বছর পর ইতালির ঘরোয়া লিগ জিতেছে এসি মিলান। সে আনন্দ দোলা গিয়ে গিয়েছে এমবাপ্পের মনেও, ‘সত্যি বলতে কি, আমি মিলানকে সিরি ‘আ’ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই। ওখানে আমার অনেক ফরাসি বন্ধু আছে, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ আছেন, একজন কিংবদন্তি যাকে আমি অনেক সম্মান করি।’