প্রথমে হোসে মরিনহো তারপর পেপ গার্দিওলা। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে দুই হেভিওয়েট কোচকে মুদ্রার অপর পিঠ দেখিয়ে দিলেন ওলে গানার সুলশার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ কোচের মুখোমুখি হয়ে পারেননি টটেনহামের দায়িত্ব নেওয়া মরিনহো। আর কাল ম্যানচেস্টার সিটির ঘরের মাঠে স্বাগতিকদেরই ২-১ গোলে হারিয়েছে ইউনাইটেড। এ হারে লিগের প্রায় মাঝপথেই দৃশ্যত শিরোপা দৌড় থেকে ছিটকে পড়ল সিটি।
১৬ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল। ১৫ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট তুলে নেওয়া লেষ্টার সিটি টেবিলের দুইয়ে। পেপ গার্দিওলার সিটি ১৬ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়। গার্দিওলার কোচিং ক্যারিয়ারে ১৬ ম্যাচ শেষে এটাই সর্বনিম্ন সংগ্রহ। এদিকে সিটির সঙ্গে ১৪ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে লিভারপুল। গত দুই মৌসুমে দাপট দেখানো সিটির—২০১৭-১৮ মৌসুমে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ জেতা—রাজত্ব কি তাহলে শেষের পথে?
>ম্যানচেস্টার ডার্বিতে কাল নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এ হারে লিগ শিরোপা জয়ের দৌড় থেকে ছিটকে পড়ল পেপ গার্দিওলার দল?
সিটির অন্তত এবার যে লিগ জেতা হচ্ছে না তা কাল ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’ শেষে ইতিহাসের পাতা দেখে বলাই যায়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে কোনো দলই ১৪ পয়েন্ট ব্যবধান ঘুচিয়ে লিগ জিততে পারেনি। সে হিসেবে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে লিভারপুলের বড় উপহারই করল ইউনাইটেড। সিটি আপাতত অসম্ভবকে সম্ভব করার পণ নিয়ে এগোতে পারে।গত মৌসুমে ৯৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শিরোপা জিতেছিল ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি। এবার সে পর্যন্ত পৌঁছাতে লিগে নিজেদের বাকি ২২ ম্যাচই জিততে হবে। সম্ভব?
স্বয়ং গার্দিওলার কাছেই অসম্ভব লাগছে। লিভারপুলকে ধরার চেষ্টাটা আপাতত তাঁর কাছে বাস্তবসম্মত কোনো চিন্তা নয়, ‘নিজেদের কী করতে হবে এবং পরবর্তী ম্যাচ নিয়েই আমরা শুধু ভেবে থাকি। তাই (লিভারপুলকে) ধরার ভাবনাটা বাস্তবসম্মত না। অবশ্যই এটা খুব কঠিন। কারণ প্রতিপক্ষ ১৬ ম্যাচে ১৫ জয় তুলে নিয়েছে এবং খুব ভালো ফর্মে আছে। কিন্তু আমাদের নিজেদের কাজটা করে যেতে হবে। আরও অনেক কিছুর জন্যও খেলা যায়।’ গার্দিওলা ‘আরও অনেক কিছু’ বলতে নিশ্চয়ই শিরোপা ছাড়া বাকি সবকিছু বুঝিয়েছেন।
ইতিহাদে প্রথমার্ধের ২৯ মিনিটের মধ্যে ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন মার্কাস রাশফোর্ড ও অ্যান্থনি মার্শিয়াল। সিটির সমর্থকেরা তখন নিশ্চয়ই চমকে গিয়েছিলেন? গার্দিওলা কোচ হওয়ার পর ঘরের মাঠে লিগ ম্যাচে এত দ্রুত দুটি গোল যে তাঁরা এর আগে কখনোই হজম করেনি। ৮৫ মিনিটে নিকোলাস ওতামেন্দির গোলটা সিটি সমর্থকদের জন্য সান্ত্বনা হয়েই থেকে গেছে।