ম্যাচটা জিতে গেলেই মার্শেই লিগ শিরোপার লড়াইয়ে ফিরত, এ কথা বলা যাবে না। তবে পিএসজির সঙ্গে ব্যবধান কিছুটা কমত। তাতে কাগজে-কলমে যেটুকু আশা আছে, সেটাও একটু দীর্ঘায়িত হতো। কিন্তু লিওনেল মেসি-কিলিয়ান এমবাপ্পে-নেইমাররা সেই সুযোগ দিলে তো! পার্ক দে প্রিন্সেসে মার্শেইকে ২-১ গোলে হারিয়েই লিগের ট্রফিতে এক হাত দিয়ে রাখল পিএসজি। ৩২ ম্যাচ শেষে লিগের শীর্ষে থাকা পিএসজির পয়েন্ট ৭৪, সমান ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে মার্শেই দ্বিতীয় স্থানে। বাকি ৬ ম্যাচের অপেক্ষা না করে ট্রফিটা এখনই মরিসিও পচেত্তিনোর দলকে দিয়ে দিলে মনে হয় না প্রতিপক্ষ কোনো দল আপত্তি করবে।
খুব যে রোমাঞ্চ ছিল এই ম্যাচ নিয়ে, সেটা বলা যাবে না। অথচ মৌসুমের প্রায় শেষ দিকে এসে যদি ‘লা ক্লাসিক’ হয়, সেটা নিয়ে বাড়তি আকর্ষণ থাকারই কথা। এ সময়টাতেই তো আসলে লিগ শিরোপার লড়াই টানটান উত্তেজনায় রূপ নেয়। সেই উত্তেজনার সঙ্গে যদি পিএসজি-মার্শেই ঝাঁজ যোগ হয়, আর কী লাগে!
কিন্তু এবার বেশ আগে থেকেই পিএসজি লড়াইটা এক তরফা বানিয়ে ফেলেছে। শিরোপা-লড়াইয়ের রোমাঞ্চ নয়, এখন তাই মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে ত্রয়ীকে একসঙ্গে খেলতে দেখাই পিএসজির ম্যাচগুলোর এবং ফরাসি লিগেরও বড় আকর্ষণ।
ইউরোপের সবচেয়ে বিখ্যাত আক্রমণভাগ অবশ্য আজও নিরাশ করেনি। ১২ মিনিটে মার্কো ভেরাত্তির পাস থেকে করা নেইমারের গোলটার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আসলে মাঝমাঠে মেসির পা থেকেই। পরে মেসি নিজেও একটা সুযোগ নষ্ট করেছেন ২৩ মিনিটে। সুযোগ নষ্ট করলেও এমবাপ্পে গোল পেয়েছেন বিরতির আগেই, পেনাল্টি থেকে অবশ্য। নেইমারের শট লেগেছিল মার্শেইয়ের ডি-বক্সে এক ডিফেন্ডারের হাতে, ভিএআরের সাহায্য নিয়ে বাজানো হয় স্পট কিকের বাঁশি। এমবাপ্পে ভুল করেননি।
তবে পিএসজির এই দুই গোলের মাঝেই মার্শেইও একবার গোল-উৎসব করে। ৩১ মিনিটে সমতা ফিরিয়েছিলেন মার্শেইয়ের ক্রোয়েশিয়ান সেন্টার ব্যাক দুয়ে কালেতা-কার। কিন্তু বেশিক্ষণ সমতায় থাকতে পারেনি হোর্হে সাম্পাওলির দল। এমবাপ্পের গোলে আবার পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে নেমে বেশ চেষ্টা করেছে মার্শেই। ৮৫ মিনিটে দিমিত্রি পায়েতের পাস থেকে উইলিয়াম সালিবা পিএসজির জালে বল পাঠিয়ে সমতা ফেরানোর উচ্ছ্বাসেও মেতেছিলেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে ভিএআরে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। দুই আর্জেন্টাইন কোচের লড়াইয়ে শেষ হাসিটা তাই পিএসজির মরিসিও পচেত্তিনোই হাসেন।