আরামবাগের শাস্তি কমছে
আরামবাগের শাস্তি কমছে

শাস্তি কমল আরামবাগের ফুটবলারদের

স্পট ফিক্সিং, অনলাইন বেটিংসহ অন্যান্য অভিযোগে শাস্তি পাওয়া আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের ফুটবলারদের শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে এক বছর করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

আগের সিদ্ধান্ত অনুসারে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ফুটবলার আপেল মাহমুদ। ৩ বছর নিষিদ্ধ করা হয় ফুটবলার আবুল কাশেম, আল আমিন, মোহাম্মদ রকি, জাহিদ হোসেন, রাহাদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান,শামীম রেজা ও অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানকে। ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন নাইজেরিয়ান ফুটবলার সিজোবা ক্রিস্টোফার। এ ছাড়া ওমর ফারুক, রকিবুল ইসলাম, মেহেদি হাসান ও মেরাজ মোল্লা ও নিষিদ্ধ হয়েছিলেন এক বছরের জন্য।

আরামবাগ ক্লাব আগামী মৌসুমে খেলবে প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে

কিন্তু বাফুফের আপিল কমিটির কাছে শাস্তি কমাতে আবেদন করেছিলেন ফুটবলাররা। ফুটবলারদের ক্যারিয়ার বিবেচনায় এনে বাফুফের আপিল কমিটি আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। গতকাল আপিল কমিটির সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তু অনুসারে সবাইকে আগামী এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো বহাল রেখেছে বাফুফে।

শাস্তি দেওয়া হয়েছিল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকেও। আগের সিদ্ধান্ত অনুসারে শাস্তি হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের বদলে তাদের প্রথম বিভাগে দুই মৌসুম খেলতে হতো। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে তাদের দুই মৌসুম খেলার বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে বাফুফে। সে ক্ষেত্রে আগামী মৌসুম শেষে যোগ্যতা অর্জন করলেই উঠে যাবে পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নস লিগে। কিন্তু তাদেরকে ৫ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা গুনতেই হচ্ছে।

ক্লাব কর্মকর্তারাও শাস্তি কমাতে আবেদন করেছিলেন। তবে তাদের শাস্তি না কমায় হতাশ ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এজাজ জাহাঙ্গীর, ‘আমরাও ক্লাবের শাস্তির মেয়াদ কমাতে বাফুফের কাছে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বাফুফে। এই শাস্তি কমানোর ব্যাপারে আমরা আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি। আগামীকাল ক্লাবে এ নিয়ে সভা আছে। এরপরই এ বিষয়ে আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’