দিলখোলা এক মানুষ নেইমার। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজে বোঝা গেছে, জীবনকে প্রতি পরতে পরতে উপভোগ করার চেষ্টায় কমতি রাখেন না তিনি। ফুটবল খেলার পর বাকি সময়টা বন্ধুবান্ধব নিয়ে হেসেখেলে কাটান। ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ডের রসবোধের কমতি আছে, এটা হয়তো কেউ বলবেনও না। এবার সেই রসবোধের আরেকটা দুর্দান্ত প্রমাণ দিয়েছেন পিএসজির এই ফরোয়ার্ড।
গতকাল দিনটা ছিল মাদের। নিজের জন্মদাত্রীর স্তুতি গেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই পোস্ট দিয়েছেন, ছবি আপলোড করেছেন। বিবাহিত ব্যক্তিরা আবার আরও এককাঠি সরেস, শাশুড়ির ছবি পোস্ট করেও গুণগান গেয়েছেন মনখুলে। নেইমারই–বা বাদ যান কীভাবে? পোস্ট করেছেন তিনিও। তবে নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে যা পোস্ট করেছেন, তাতে গোমড়ামুখো বলে পরিচিত মানুষটাও কিছুক্ষণ হো হো করে হেসে উঠতে বাধ্য! নিজের মায়ের পাশাপাশি নেইমার তাঁর সব শাশুড়িকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মা দিবসের!
কী? খটকা লাগছে তো? লাগাই স্বাভাবিক। ফুটবলার হিসেবে পাদপ্রদীপের আলোয় আসার পর এন্তার নারীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের। ব্রুনা মার্কেজিন, লারিসা মাসেদো মাচাদো, থাইলা আয়ালা, ক্যারোলিনা দান্তাস, বারবারা ইভান্স, ক্যারোল আব্রানচেস, আন্দ্রেসা সুইতা, ক্লোই গ্রেস মোরেৎস, এলিজাবেথ মার্তিনেস, রবের্তা আপ্রাত্তি, লারিসা অলিভিয়েরা, পাত্রিসিয়া জর্দান, মেইরা কার্দি, সারা ভুচেলিক, ক্যারল বেলি, দানিয়েলা কারভালিও, গাব্রিয়েলা লেনজি, নিকোল বালস, নাতালিয়া বারুলিচ, এমিলিয়া মার্নেস, গাবিলি, আরও কত কে!
যার মধ্যে কিছু সত্যি, আবার কিছু পুরোটাই মিডিয়ার বানানো গপ্পো। হাজারো নারীসঙ্গ উপভোগ করলেও কখনো কাউকে বিয়ে করেননি এ তারকা। নিজেও সম্প্রতি বারবার জানিয়েছেন, একাই আছেন এখন।
তাতে মিডিয়া থামবে কেন? পাপারাজ্জির চোখ কি আর ফাঁকি দেওয়া যায়? নেইমারের নারীসঙ্গের কেচ্ছারও কমতি নেই বাজারে। নেইমারও তাই মা দিবসের উপলক্ষকে বেছে নিয়েছেন সেসব মিডিয়ার মুখ বন্ধ করার জন্য, অবশ্যই হাস্যরসের মাধ্যমে। স্টোরিতে লিখেছেন, ‘তোমাদের সবার মা কে, আমাদের শাশুড়িদের মা দিবসের শুভেচ্ছা।’
এখানে বুঝতে আইনস্টাইন হতে হয় না যে নেইমার ‘তোমাদের সবার মা’ আর ‘শাশুড়িদের’ বলতে কী বুঝাতে চেয়েছেন!