বায়ার্নে আর মন বসছে না রবার্ট লেভানডফস্কির। বার্সেলোনায় যাওয়ার জন্য বলতে গেলে একপায়ে খাড়া এই পোলিশ স্ট্রাইকার। আট বছর বায়ার্নের হয়ে গোলের পর গোল করে যাওয়া এই স্ট্রাইকার ক্যারিয়ারে এখন ভিন্ন কিছুর স্বাদ চান। চান ভিন্ন চ্যালেঞ্জ।
আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের জুনে। কিন্তু তিনি বায়ার্ন ছাড়তে চান ২০২২ সালেই। ক্লাবের সঙ্গেও সম্পর্কটা আগের মতো নেই, দুবার বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব পাওয়া এই স্ট্রাইকার যা চাইছেন, বায়ার্ন তা দিতে আগ্রহী নয় দেখেই বায়ার্নের ওপর আরও মন উঠে গিয়েছে এই স্ট্রাইকারের।
বায়ার্নে নিজের চুক্তি নিয়ে সন্তুষ্ট নন লেভানডফস্কি। ৩৪ বছর বয়সী লেভানডফস্কি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি চাইছেন। টানা তিন মৌসুম ইউরোপের সর্বোচ্চ স্কোরার চাইছিলেন সম্ভাব্য শেষ চুক্তিতে বেতন বাড়িয়ে নিতে, চুক্তির মেয়াদও তিন বছর চাইছিলেন। কিন্তু হিসাবি বায়ার্ন মাত্র এক বছরের চুক্তি বাড়াতে চায়। বেতনও স্ট্রাইকারের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দিতে রাজি নয় তারা।
তবে বায়ার্ন ছাড়ার জন্য লেভানডফস্কির এত উতলা হয়ে যাওয়ার কারণ আরও একটা রয়েছে। বায়ার্নে দুর্দান্ত এক ক্যারিয়ার কাটিয়েও ব্যালন ডি’অরের দেখা না পেয়ে লেভানডফস্কির ধারণা হয়েছে, এই পুরস্কার পেতে রিয়াল মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার মতো ক্লাবে খেলতে হবে তাঁকে। একসময় রিয়ালে যেতে আগ্রহী হলেও এখন আর সেটা সম্ভব হচ্ছে না জেনে বার্সেলোনার দিকেই ঝুঁকেছেন।
সবকিছু মিলিয়ে বার্সেলোনায় কিছু করে দেখানোর ইচ্ছাটাই বায়ার্ন ছাড়ার সবচেয়ে বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে লেভার জন্য।
লেভানডফস্কির এ ইচ্ছার কথাটাই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর সাবেক এজেন্টের কথায়। লেভানডফস্কির সাবেক মুখপাত্র সেজারি কুচারস্কি জানিয়েছেন, লেভানডফস্কি সবাইকে তাঁর মান দেখিয়ে দিতে চান। বুঝিয়ে দিতে চান রিয়াল মাদ্রিদের করিম বেনজেমা নন বরং তিনিই বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকার, ‘ও সবাইকে দেখিয়ে দিতে চায় সে বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকার। করিম বেনজেমার চেয়েও ভালো। যে কারণে ও বার্সেলোনায় যেতে চায়।’
বার্সায় যাওয়ার জন্য দরকার হলে বায়ার্নের সঙ্গে যুদ্ধ করতেও রাজি এই পোলিশ ফরোয়ার্ড, এমনটাই জানিয়েছেন কুচারস্কি, ‘বার্সা ও লেভানডফস্কি এই দলবদলটা হওয়ার জন্য দরকার হলে যুদ্ধ করবে। ও দরকার পড়লে বায়ার্নকে চাপ দেবে ওকে চুক্তিমুক্ত করার জন্য। বায়ার্নের কর্তাব্যক্তিরা জানতেন, ও স্পেনে যেতে চায়। ওর পরিকল্পনায় ছিল প্রথমে জার্মানি, পরে স্পেন, সবশেষে যুক্তরাষ্ট্রে খেলে ক্যারিয়ার শেষ করা।’