ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের একমাত্র গোলে কাল রাতে লিভারপুলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। পাঁচ বছরের মধ্যে এ নিয়ে দুবার লিভারপুলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতল রিয়াল। তবে ২০১৮ সালের ফাইনালের সঙ্গে কালকের ম্যাচের অনেক পার্থক্য। সেবার পরিষ্কার ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছিল স্প্যানিশরা। কালকের জয়ে রিয়ালের হয়ে অবিশ্বাস্য কিছু করতে হয়েছে গোলকিপার থিবো কোর্তোয়াকে।
রিয়াল গোলকিপার কাল ৯টি সেভ করেছেন। নিকট অতীতে তো বটে, দূর অতীতেও এমন পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি কোনো গোলকিপার। তবে আর্সেনালের সাবেক কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের চোখে, কালকের এ ফলে লিভারপুলের দুই ফরোয়ার্ডে সাদিও মানে ও মোহাম্মদ সালাহরও ‘অবদান’ আছে।
বিইন স্পোর্টসে ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে এসেছিলেন ওয়েঙ্গার। সেখানে মানে ও সালাহকে নিয়েই কথা বলেছেন। কেন এমন পারফরম্যান্স ছিল দুই ফরোয়ার্ডের, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শেষ দিন পর্যন্ত শিরোপা দৌড় চলেছে। শেষ ম্যাচে একপর্যায়ে শিরোপার সুবাসও পাচ্ছিল লিভারপুল। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটি নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করায় হাতছোঁয়া দূরত্ব থেকে ফিরতে হয়েছে লিভারপুলকে।
গতকাল লিভারপুলের ফরোয়ার্ডদের দারুণ সব সুযোগ হাতছাড়া করার ব্যাখ্যায় ওয়েঙ্গার বলেছেন, ‘ম্যাচ দেখে মনে হচ্ছিল, গত সপ্তাহের হতাশা, মৌসুমের শেষ ম্যাচে ওভাবে শিরোপা না জিততে পারাটা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিয়েছে ওদের। মনে হচ্ছিল, সালাহ, মানে, যারা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, ওদের মধ্যে আগের সেই তাজা ভাব, ওরা যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, সেই বিশ্বাস ছিল না।’
সালাহ-মানের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি একটা ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু কাল কোর্তোয়া যা করেছেন, সেটা ভুললেও তো চলছে না। আর্সেনাল কিংবদন্তি তাই স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘কোর্তোয়া না থাকলে গতকাল ফাইনালের ফল ভিন্ন কিছু হতে পারত, শেষ পর্যন্ত ওরা যে পারল না, তার কারণ কোর্তোয়া। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল, লিভারপুল যদি ১-১ করতে পারে, তাহলে ওরা ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচটা জিতেও যাবে। কিন্তু ওরা সেই বিশেষ মুহূর্তের দেখা পায়নি, যেখানে ওরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারে। এর মূল কারণ কোর্তোয়া।’