চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ আটে সাইফ স্পোর্টিং
চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ আটে সাইফ স্পোর্টিং

লাল কার্ডের পর স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়লেন রিয়াদুল

আজ ফেডারেশন কাপে লাল কার্ড দেখেছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান। কার্ডে দেখে মাঠ ছেড়েছেন অবশ্য স্ট্রেচারে করে। কারণ, ফাউল করে উল্টো হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছেন জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার।

রিয়াদুলের এমন কাণ্ডেও তাঁর দলের কোনো ক্ষতি হয়নি। চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং। ওদিকে এ স্কোরকার্ড ফেডারেশন কাপ থেকে বিদায় করে দিল কয়েক দিন আগে স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে খেলা বাংলাদেশ পুলিশকে।

সাইফের গোলের উচ্ছ্বাস

৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সাইফ। পুলিশকে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট পাওয়া রানার্সআপ চট্টগ্রাম আবাহনী। ২ জানুয়ারি সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সাইফের প্রতিপক্ষ স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিপক্ষ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

আগের ম্যাচে পুলিশকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত ছিল মারুফুল হকের চট্টগ্রাম আবাহনীর। কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত থাকায় আজ নিয়মিত বেশির ভাগ খেলোয়াড়কে একাদশে রাখেননি কোচ।

তবে শেষ আটে খেলতে সাইফের আজ অন্তত ড্র করতেই হতো। চট্টগ্রাম আবাহনীর মূল একাদশ না নামায় চড়াও হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে জয়ই তুলে নিল দিয়েগো আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল।

২২ মিনিটে সাইফের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফোন উদোহর শট সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৩৪ মিনিটে আবাহনী গোলকিপারকে একা পেয়েও ঠিকভাবে শট নিতে পারেননি উদোহ।

সাইফের দুটি গোলই এসেছে জামাল ভুঁইয়ার পাস বা ক্রস থেকে

পরের মিনিটেই সাইফকে এগিয়ে নেন মারাজ হোসেন। জামাল ভূঁইয়ার পাস বক্সের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডান পায়ের শটে গোল করেন তরুণ ফরোয়ার্ড মারাজ। ৪ মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডারের আসরোর গফুরভ। জামাল ভূঁইয়ারে কর্নারে হেডে গোলটি করেন তিনি।

২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে নিয়মিত কয়েকজন খেলোয়াড়কে বদলি হিসেবে নামান চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ। বদলি আরিফুর রহমানই ৮৪ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। শোয়েব মিয়ার ফ্রিকিক ফ্লিক হেডে গোলটি করেন আরিফুর।

এর আগে ৭৮ মিনিটে শাখওয়াত হোসেনকে পেছন থেকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন রিয়াদুল।