অনূর্ধ্ব–১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সন্তুষ্ট নয় লাওস। লাওস খেলার জন্য প্রস্তুত ছিল বলে জানিয়েছেন দলীয় ম্যানেজার।
কোনো সন্দেহ নেই স্বাগতিক বাংলাদেশের তুলনায় দলীয় ও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে শিরোপার লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল লাওস। ফাইনালে ওঠার আগ পর্যন্ত তিন ম্যাচে তাদের গোলসংখ্যা ১৮! মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৫-০, তাজিকিস্তানের বিপক্ষে ৬-০ এবং সেমিফাইনালে কিরগিজদের ৭-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে লাওসের মেয়েরা। দুর্দান্ত খেলা দলটি স্বাভাবিকভাবে শিরোপা জয় করার সব প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে এসেছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ দেখিয়ে শেষ মুহূর্তে খেলা বাতিল হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে তারা। স্পষ্টত, যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সন্তুষ্ট নয় আসিয়ান দেশটি।
লাওসের ম্যানেজার গাল্দানাসুক টুভসিনবায়ার বলেন, ‘দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে খেলাটি না হওয়ায় আমরা খুবই হতাশ। মাঠ খেলার উপযুক্ত ছিল। আমরাও খেলার জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাফুফের সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান জানাই।’
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সকাল থেকেই ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি। বৃষ্টিতে মাঠের টাচ লাইনে ধরে কিছু অংশে পানি জমলেও খেলা শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগে মাঠ খেলার জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠে। দুই দল ওয়ার্মআপ করে ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছিল। রেফারিরাও খেলা চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে অ্যাথলেটিক্স ট্রাকের ওপর এসে দাঁড়ান। বৈরী আবহাওয়া নিয়ে চিন্তা তখন বেশ কমে এসেছে। প্রতীক্ষিত ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন গ্যালারির দর্শকেরা। যদিও ম্যাচ শুরুর নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগ থেকেই প্রেসবক্সে গুঞ্জন ‘ফাইনাল হচ্ছে না’। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হলো, ম্যাচ বাতিলের ঘোষণা দেয় আয়োজকেরা। প্রথম অনূর্ধ্ব–১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় দুই ফাইনালিস্ট বাংলাদেশ ও লাওসকে।
বৃষ্টির মধ্যেও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবলপ্রেমীরা উপস্থিত হয়েছিলেন শিরোপার লড়াই দেখতে। ফাইনাল বাতিল হওয়ায় দর্শকেরাও ভীষণ হতাশ।