>নেইমার সাপ দেখে বেশ ভয় পান। সেটি নিয়েই ড্রেসিংরুমে মজা করেছেন তাঁর পিএসজি সতীর্থরা
নেইমারের আর কী দোষ? সাপটা দেখে যে কারওই পিলে চমকে যাওয়ার জোগাড় হবে!
গায়ের রং কালো কুচকুচে। পেটের দিকের রংটা হলুদ। রীতিমতো বিষাক্ত সাপই। এমন সাপ হঠাৎ সামনে এসে পড়লে কার না ভয় লাগবে? তারপর এমনিতেই সাপকে ভয় পাওয়া মানুষ হলে তো আর কথাই নেই! তবে নেইমারের ভয়টা বেশিক্ষণ থাকেনি। সাপটা যে আসল সাপ নয়। মজার ছলেই পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে সাপ দেখিয়ে ভয়টা দেখিয়েছেন তাঁরই ক্লাব সতীর্থরা।
সদা হাস্য নেইমারই সতীর্থদের নিয়ে মজা করছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও-ছবির দেখা তো হরহামেশাই মেলে। কি ব্রাজিল, কি পিএসজি—সব দলেই সতীর্থদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে যাওয়া নেইমার কখনো দেখা যায় একে খোঁচাচ্ছেন, তো কখনো ওকে! এবার তিনিই থাকলেন ঠাট্টার কেন্দ্রে।
সাপ নিয়ে এমন ভয় দেখানোর কারণও আছে। ফুটবল পায়ে প্রতিপক্ষের দঙ্গল এড়িয়ে সাপের মতো আঁকাবাঁকা দৌড় যাঁর ট্রেডমার্ক, সেই নেইমারের আবার সর্প ভীতি অনেক বেশি কিনা! সে কারণে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পিএসজি সতীর্থরা ড্রেসিংরুমে তাঁর লকারে একটা ভয়ংকর-দর্শন সাপ রেখে দেন। স্বাভাবিকভাবেই নেইমার সেটি জানতেন না। আর দশদিনের মতোই ড্রেসিংরুমে নিজের লকার খুলতে গিয়েই সেটি চোখে পড়ল, এরপর তো তাঁর আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড়!
ভয় পাওয়ার পর নেইমারের প্রতিক্রিয়া কেমন হয়, সেটি বিশ্বকে জানানোর প্রস্তুতিও আগে থেকেই নেওয়া ছিল পিএসজি ড্রেসিংরুমে। নেইমার লকার খুলতে যাওয়ার সময় থেকেই ঘটনাটার ভিডিও করে সেটি ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন পিএসজিতে তাঁরই আর্জেন্টাইন সতীর্থ লিয়ান্দ্রো পারেদেস। তা প্রতিক্রিয়াটা কেমন হলো? কেমন ভয় পেলেন নেইমার? লকার খুলে সাপটা দেখতে পেয়েই ভয়ে হাতটা সরিয়ে নিলেন লকার থেকে। ভয় পেলে তো মুখের ভাষায় অনেক সময় লাগাম থাকে না, নেইমারেরও তা-ই হলো। কিছু একটা বলে বসেছেন, সাধারণ্যে প্রকাশের অযোগ্য বলে ভিডিওতে সেটিকে ‘সেন্সর’ করে দিয়েছেন পারেদেস।
তবে ভয়টা দু-এক সেকেন্ডেরই। এটা যে আসল সাপ নয়, তিনি যে সতীর্থদের খুনসুটির শিকার হচ্ছেন, সতীর্থদের হাসি দেখেই সেটি বুঝতে বাকি থাকেনি নেইমারের।