কথাটা ইব্রাহিমোভিচের মুখেই বেশি মানাত। ফুটবলে দাম্ভিক কথাবার্তা বলায় যে সুইডিশ স্ট্রাইকারের ধারেকাছেও নেই কেউ। কিন্তু কথাটা ইব্রা নন, বলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নিজেই।
বিশ্ব ফুটবলের যত রেকর্ড ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসি নিজেদের মধ্যেই যেন ভাগাভাগি করে নেওয়ার পণ করেছেন। ক্লাব ফুটবলে মেসির দাপট বেশি আর আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনালদোর। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী সবচেয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোলও তাঁর। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে পেশাদার ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটাও হয়ে গেছে তাঁর।
৩৭ বছর বয়সেও এখনো আগের মতো গোলক্ষুধা রোনালদোর। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে নিজের প্রিয় ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরেছেন, সব প্রতিযোগিতা মিলে করেছেন ২৪ গোল। কিন্তু এতেও ইউনাইটেডের কোনো লাভ হয়নি। ২০১৭ সালের পর থেকে শিরোপা–খরায় ভোগা ক্লাবের ভাগ্য বদলায়নি। আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগে খেলতে হবে ইউনাইটেডকে। ক্লাবে থেকে গেলে ক্যারিয়ারে এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা হবে না রোনালদোর। তবু ক্লাব ছাড়তে চান না রোনালদো।
নতুন কোচ এরিক টেন হাগ তাঁকে রাখতে চান কি না, সে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তবে টেন হাগ জানিয়েছেন, এমন কিংবদন্তির সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছেন। আগামী মৌসুমে নতুন কোচের সঙ্গে কাজ করতে রোনালদোও যে মুখিয়ে আছেন, সেটা জানিয়েছেন ইউনাইটেডের নিজস্ব অনুষ্ঠান ‘প্লেয়ারস ডায়েরি’তে। সেখানেই রেকর্ড নিয়ে নিজের গর্বটা এভাবে প্রকাশ করেছেন রোনালদো, ‘রেকর্ড স্বাভাবিকভাবে আসে। আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না, রেকর্ড আমার পেছনে ছোটে। এটা ভালো।’
পেশাদার ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল, আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল, চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি গোল...রেকর্ড তো কম করেননি রোনালদো। ক্লাব ফুটবলে সম্ভাব্য সবকিছু জিতেছেন। জাতীয় দলেও দুটি শিরোপা পেয়েছেন। তবু থামার কোনো ইঙ্গিত দেখাচ্ছেন না।
রোনালদো জানিয়ে দিয়েছেন, তেমন কোনো ইঙ্গিত খুব শিগগির দেখার সম্ভাবনাও নেই, ‘এটাই আমার চালিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। শুধু পরিশ্রম করে যাও। এই খেলার জন্য আমার আবেগ এখনো আগের মতো। এই পথে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আমার সতীর্থরা সাহায্য করেছে। যারা ক্রিস্টিয়ানোকে সাহায্য করেছে, তাদের ধন্যবাদ দিতেই হবে। কিন্তু আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ম্যাচ জেতা এবং কিছু লিগ বা কাপ শিরোপা জেতা। আমার বিশ্বাস যেখানে থাকা উচিত, সেখানেই যাবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। মাঝেমধ্যে সময় লাগে, কিন্তু আমি বিশ্বাস রাখি।’