ফ্রি-কিকে রোনালদোকে টপকেছেন মেসি।
ফ্রি-কিকে রোনালদোকে টপকেছেন মেসি।

রোনালদো নন, ফ্রি কিকে এখন মেসিই সেরা

টানা দুই ম্যাচে জোড়া গোল। লিওনেল মেসি হাসছেন, হাসছে বার্সেলোনাও। মৌসুমের শুরুতে খেই হারিয়ে ফেলা বার্সেলোনার ফর্মেরও উন্নতি হয়েছে তাতে। দুদিন আগে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৩-২ গোলে হারানোর পর গত রাতে গ্রানাদাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও মেসি গোল করেছেন দুটি। বাকি দুই গোল ফরাসি স্ট্রাইকার আতোয়ান গ্রিজমানের।

ফ্রি-কিকে রোনালদোর কার্যকারিতা আগের চেয়ে একটু কমেছে।

দুটি গোলের একটি আবার এসেছে দর্শনীয় এক ফ্রি কিক থেকে। আর এই ফ্রি কিক গোলের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে ক্লাব ফুটবলে ফ্রি কিকে গোল করার দিক দিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নন, বরং লিওনেল মেসিই রাজা। নিজের ক্লাব ক্যারিয়ারে স্পোর্তিং লিসবন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসের হয়ে খেলা পর্তুগিজ রাজপুত্র ফ্রি কিকে গোল করেছেন ৪৭টি। ওদিকে গোটা ক্যারিয়ারটাই বার্সায় কাটিয়ে দেওয়া লিওনেল মেসি গত রাতে করলেন নিজের ৪৮তম ফ্রি কিক গোল। এর মধ্যে ৩৬টিই এসেছে লা লিগায়। অর্থাৎ প্রতি ১৫.৭ ম্যাচ অন্তর অন্তর একটা করে ফ্রি কিকে গোল করেছেন মেসি। রোনালদোর ক্ষেত্রে যে হারটা ১৮.৮।

‘হয়তো দুজন গোলরক্ষক থাকলেও লিও মেসির এই ফ্রি কিকটা আটকানো যেত না। তিনি আবারও দেখাচ্ছেন, তিনি কী জিনিস। বর্তমানে স্প্যানিশ লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতাকে পরিচয় করিয়ে দিই আপনাদের সঙ্গে, তিনি আর কেউ নন, লিওনেল মেসি। কিছু জিনিস কখনোই বদলায় না’—ফ্রি কিক গোলের পর ধারাভাষ্যকারের এমন উল্লাসই প্রকাশ করে, গোলটা কতটা দৃষ্টিনন্দন ছিল! আর এই গোলের মাধ্যমেই চলতি লিগে এ পর্যন্ত ১১টি গোল হয়ে গেল আর্জেন্টাইন তারকার। এর চেয়ে বেশি গোল এখনো কেউ করেননি।

এই ফ্রি-কিকেই রেকর্ড গড়েছেন মেসি।

তবে জাতীয় দলের রেকর্ডসহ বিবেচনা করলে দুজনের মধ্যে ফ্রি কিকের রাজা এখনো রোনালদোই। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ফ্রি কিকে রোনালদোর গোল ৫৬টি। তবে কিছুদিনের মধ্যে হয়তো এ রেকর্ডটাও মেসি কেড়ে নেবেন, তাঁর গোল যে মাত্র দুটি কম!