তুরিনে পর্তুগিজ তারকার মায়াবী রাতের পর তাঁর সাবেক ক্লাব সতীর্থ আলভারো আরবেলোয়ার টুইট, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখন পৃথিবী ছেড়ে মঙ্গল গ্রহবাসীদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে পারে।’
জুভেন্টাস-রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচটি যাঁরা দেখেননি, তাঁদের কাছে আরবেলোয়ার মন্তব্যটা বাড়াবাড়ি মনে হতেই পারে। কারণটা হয়তো লিওনেল মেসির মতো খেলোয়াড় এখনো এই গ্রহে আছেন, তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকেই যায়। কিন্তু রিয়াল ফরোয়ার্ডের পেশিবহুল শরীরের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী খেলোয়াড় আছে কি? রোনালদোর এই বয়সেও এত চমৎকারত্বের রহস্য কী? সেটা জানতেই তাঁর শরীর নিয়ে যেন রীতিমতো চলছে গবেষণা।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দেপোর্তেস কোপের সংবাদকর্মী আরাঞ্চা রদ্রিগেজ এর মধ্যে খেটেখুটে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। তাঁর ভাষ্য, ৩৩ বছর বয়সী এই রোনালদো যেন ২৩ বছরের টগবগে যুবক! রোনালদোর শরীরের গঠন বিশ্লেষণ করে কিছু অবিশ্বাস্য তথ্য পেয়েছেন রদ্রিগেজ। যেমন ধরুন, ফুটবলারদের শরীরে সচরাচর চর্বির হার গড়ে যেখানে ১০-১১ শতাংশ, রোনালদোর সেখানে মাত্র ৭ শতাংশ।
রোনালদোর শরীরে পেশির অনুপাত ৫০ শতাংশ, যেখানে অন্য ফুটবলারদের ক্ষেত্রে তা সচরাচর ৪৬ শতাংশ টপকাতে পারেনি। তুরিনে বাইসাইকেল কিকে তাঁর গোলটি মনে আছে? গোলটি করতে রোনালদোকে বেশ উঁচুতে লাফাতে হয়েছে। রদ্রিগেজের মতে, লাফ দেওয়ার সময় তিনি যে পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করে যতটা উঁচুতে ওঠেন, তাতে শরীরবিজ্ঞানের হিসাবে রোনালদোর বয়স দাঁড়ায় ২৩ বছর!
সত্যি বলতে, তুরিনে জুভেন্টাসের মাঠে রিয়াল তারকা যেন ‘সাইক্লোন’ বইয়ে দিয়েছেন। বিশ্বাস হচ্ছে না? রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিটি আক্রমণেই রোনালদো কিন্তু ছিলেন। এই ম্যাচে রোনালদোর চেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়ের সংখ্যা কিন্তু কম ছিল না। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে রোনালদোর সর্বসাকল্যে গতিই ছিল সর্বোচ্চ—ঘণ্টায় ৩৩.৬৫ কিলোমিটার। প্রথমার্ধে রোনালদোর সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৩৩.৭৩ কিলোমিটার, দ্বিতীয়ার্ধে একটু কমে ৩২.৬৪ কিলোমিটার। ম্যাচে আর কোনো খেলোয়াড়ই ঘণ্টায় ৩৩ কিলোমিটার গতিসীমা টপকাতে পারেননি।