>এ জীবনে কম গাড়ি কেনেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তারকা হওয়ার পর রাজার হালে জীবনযাপনে অভ্যস্ত রোনালদোর গাড়ি কেনার শখ ছিল সব সময়েই। নতুন গাড়িগুলোকে জায়গা করে দেওয়ার জন্য বহু আগের একটি গাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছেন তিনি। ইচ্ছে করলে আপনিও কিনতে পারেন সেটি।
স্পোর্টিং লিসবন থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আসার পর অডি কোম্পানির একটা গাড়ি কিনেছিলেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, এস-থ্রি ক্যু মডেলের। সম্প্রতি গাড়িটি বিক্রি করে দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। গাড়িটা কেনার ব্যাপারে আপনার আগ্রহ থেকে থাকলে জেনে রাখুন, যে গাড়িতে রোনালদো বসেছেন, সেটিতে আপনি যদি বসতে চান, তাহলে খরচ করতে হবে ২০ হাজার ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯ লাখ টাকার মতো।
পর্তুগালের এক দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে রোনালদোর বৈশ্বিক মহাতারকা হয়ে ওঠার গল্পটা রূপকথার চেয়ে কম কিছু নয়। পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনে থাকতেই প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে চোখ কাড়েন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সে সময়ের ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের। ওল্ড ট্রাফোর্ডে এসেই জৌলুশ আর প্রতিপত্তির সঙ্গে সখ্য এই পর্তুগিজ তারকার। সে সময়ই সেই অডি এস-থ্রি ক্যু মডেলের গাড়িটি কিনেছিলেন রোনালদো। এরপর কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়াল যোগ দিয়ে কাটিয়ে দিলেন দশটি বছর। রিয়াল ছেড়ে এখন ঠিকানা বানিয়েছেন জুভেন্টাসকে। সেই অডির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও কত গাড়ি! কিন্তু প্রথম কেনা গাড়িটিকে সযত্নেই লালন করেছেন রোনালদো। সেই গাড়িটিই এখন বিক্রি করে দিতে চাচ্ছেন তিনি।
অডি কোম্পানির এই গাড়ি সেই ২০০০ সালের, বাজারে এখন এর দাম ছয় হাজার থেকে দশ হাজার ইউরোর মধ্যে। রোনালদো নিজেও কেনার সময় গাড়িটা ‘সেকেন্ড-হ্যান্ড’ ই কিনেছিলেন। তবে কেন পুরোনো একটা গাড়ির দাম প্রায় তিন গুণেরও বেশি রাখছেন রোনালদো? উত্তরটা সোজা, গাড়িটা তাঁর মতো এক তারকার যে! তারকার ছোঁয়া পেয়েছে যে গাড়ি, সে গাড়ির দাম আকাশচুম্বী হবে না তো কোনটার হবে?
ম্যানচেস্টারে থাকার সব স্মৃতি রোনালদো আস্তে আস্তে মুছে দিচ্ছেন, এমনটা মনে করাই স্বাভাবিক। শুধু এই গাড়িই নয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সময় চেশায়ারের যে বিলাসবহুল বাড়িতে তিনি বাস করতেন, বিক্রি করে দিচ্ছেন সেটিও। ২০০৬ সালে যে বাড়িটা কিনতে ৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় চার কোটি টাকার কিছু বেশি) খরচ করেছিলেন তিনি, সে বাড়ি বিক্রি করতে চাচ্ছেন ৩ দশমিক ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা) দিয়ে। ২০০৮ সালে ম্যানচেস্টার ছেড়ে রিয়ালে পাড়ি জমালেও এত দিন বাড়িটা তিনি বিক্রি করেননি, উল্টো ২০১৪ সাল থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের লেফটব্যাক লুক শকে মাসিক সাত হাজার পাউন্ডের (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ) বিনিময়ে বাড়িটা ভাড়া দিয়েছিলেন তিনি।
দলবদলের প্রতি মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্ত-সমর্থকেরা আশা করেন, হয়তো রোনালদো এবার ঘরে ফিরে আসবেন। ফিরে আসার সে আশাটা এবার বাদ দিলেই হয়তো ভালো হবে!