>
- সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ৬-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
- দুই গোল করেছেন গ্যারেথ বেল।
- একটি করে গোল করেন ক্রুস, হাকিমি ও ইসকো।
- ম্যাচে খেলেননি রোনালদো।
সেভিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলে হারের ক্ষত এখনো শুকায়নি। তবে হতাশা কিংবা উত্তেজনায় খেই হারিয়ে ফেলেনি রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়েরা বরং সুরে বাঁধা ছিলেন। রিয়ালের মূল অস্ত্র রোনালদো ছিলেন না। তবে মডরিচ-বেল-ইসকো-বেনজামাদের বোঝাপড়া ছিল চোখে পড়ার মতো। লা লিগায় শনিবার রাতের ম্যাচে দূরপাল্লার শট আর নির্ভুল পাসে ছিন্নভিন্ন সেল্টা ভিগো প্রথমার্ধেই তিন গোল হজম করে মাঠ ছাড়ে। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিনবার সেল্টা ভিগোর জালে বল জড়ালে ৬-০ গোলের বড় জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ।
প্রথমার্ধের শুরুতেই লুকা মডরিচের নিচু ক্রসে ফ্রেঞ্চ তারকা করিম বেনজেমা ঠিকমতো পা ছোঁয়াতে পারলে গোলের দেখা পেত রিয়াল। তবে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি স্প্যানিশ জায়ান্টদের। ম্যাচের ১৩তম মিনিটেই গোলের দেখা পায় স্বাগতিকেরা। মডরিচের লম্বা ক্রস থেকে সেল্টা ভিগোর জালে বল জড়ান গ্যারেথ বেল (১-০)। ১৭তম মিনিটে সেল্টার গোল অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হলে স্কোরলাইন অপরিবর্তিত থাকে। তখন সেল্টা ভিগোর একটা পেনাল্টির আবেদনও বাতিল করে দেন রেফারি। এরপর দারুণ ছন্দময় ফুটবলের প্রদর্শন করেন রিয়ালের খেলোয়াড়েরা। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন বেল-বেনজামারা। ম্যাচের ৩০তম মিনিটে সুন্দর ফুটবলের ফলাফল পায় রিয়াল। ইসকোর কাছ থেকে বল পেয়ে একাই সেটা টেনে আনেন গ্যারেথ বেল। সেল্টার রক্ষণকে পাশ কাটিয়ে দুর্দান্ত শটে দ্বিতীয়বারের মতো অতিথিদের জালে বল জড়ান (২-০)। ঘড়ির কাঁটা ঘুরতেই ম্যাচের ৩২তম মিনিটে তিন নম্বর গোলের দেখা পায় রিয়াল মাদ্রিদ। এবার গোল করেন ইসকো। ক্রুসের পাস থেকে ইসকোর বুলেটগতির শট সেল্টা ভিগোর জালে জড়ালে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ১০ মিনিট না যেতেই চার নম্বর গোল করে রিয়ালের আশরাফ হাকিমি। বেনেজেমার ওয়ান টু ওয়ান পাস থেকে অসাধারণ ফিনিশে সেল্টার জালে বল জড়ান রিয়ালের তরুণ এই ফুল-ব্যাক (৪-০)। এরপর হ্যাটট্রিকের বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ওয়েলশ ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেল। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে স্কোরলাইন ৫-০–তে গিয়ে দাঁড়ায়। মার্সেলোর ক্রস থেকে অ্যাসেনসিওর শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই সেটা পাঠিয়ে দেন সেল্টার গোমেজ। ৭৮তম মিনিটে মার্সেলোর দুর্বল শট আটকে দেন সেল্টা ভিগোর গোলরক্ষক। তবে মিনিট তিনেক পর টনি ক্রুসের শট আটকাতে না পারলে স্কোরলাইন আরও বড় হয় (৬-০)।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগে বার্নাব্যুতে এটাই ছিল রিয়ালের শেষ ম্যাচ। নিজেদের মাঠে এর চেয়ে ভালো প্রস্তুতি আর কী হতে পারে! জিদান–শিষ্যদের চোখ এখন কিয়েভে; চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফিতে।