রিয়াল মাদ্রিদ-ওসাসুনা ম্যাচের আগে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছিল ‘প্ল্যান বি’ নিয়ে মাঠে নামছেন জিনেদিন জিদান। কাল রিয়াল ২-০ গোলে জেতার পর বোঝা গেল এই ‘বি’ আসলে ব্রাজিল! বিশ্লেষকদের ভাষায়, বয়েজ ফ্রম ব্রাজিল—ভিনিসিয়ুস ও রদ্রিগো। দুই ব্রাজিলিয়ানের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে জিতেছে রিয়াল। এর মধ্যে রদ্রিগো অল্পের জন্য তাঁর পূর্বসূরির রেকর্ড ছুঁতে পারেননি।
১৮ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ডকে গত বছর সান্তোস থেকে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোয় কিনেছে রিয়াল। রদ্রিগোর নামের পাশে টাকার অঙ্ক দেখেই বোঝা যায়, তাঁকে সাধারণ ফুটবলারের চোখে দেখে না স্প্যানিশ ক্লাবটি। কাল রিয়াল মূল দলের হয়ে অভিষেকে দুর্দান্ত এক গোল করে ক্লাবের আস্থার প্রতিদানও দিতে শুরু করলেন রদ্রিগো। ৭১ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের বদলি হয়ে নেমে গোল করেছেন পরের মিনিটেই এবং সেটি আবার প্রথম টাচেই!
বাঁ প্রান্তে নিজেদের রক্ষণভাগ থেকে সতীর্থের ভাসানো পাস পেয়েছিলেন রদ্রিগো। কাট ইন করে ভেতরে ঢুকে ওসাসুনার এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন তিনি। মাঠে নামার ঠিক ৯৩ সেকেন্ডের মাথায় তাঁর এ গোল মনে করিয়ে দিয়েছে ব্রাজিলের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার রোনালদো নাজারিও ডি লিমার স্মৃতি। ২০০২ সালে লা লিগায় দেপোর্তিভো আলাভেসের বিপক্ষে মাঠে নামার ৬২ সেকেন্ডের মাথায় গোল করেছিলেন রোনালদো। আর সে গোলটিও ছিল রদ্রিগোর মতো প্রথম টাচেই। রোনালদোর পর লা লিগায় রিয়ালের হয়ে অভিষেকে দ্রুততম গোলের নজির গড়লেন রদ্রিগো।
রোনালদোর মতো ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই রদ্রিগোকেও অমিত প্রতিভাধর হিসেবে মনে করা হচ্ছে। রোনালদো তাঁর প্রতিভা কাজে লাগিয়ে নিজেকে সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারদের কাতারে নিয়ে যেতে পেরেছেন। রদ্রিগো কেমন করবেন তা সময়ই বলে দেবে, আপাতত রোনালদোর সঙ্গে নিজের তুলনায় আপত্তি আছে তাঁর। ‘রোনালদোর সঙ্গে তুলনায় আপত্তি আছে। কারণ সে এ খেলায় সর্বকালের অন্যতম সেরা এবং আমার দেশেরও অন্যতম সেরা।’
রদ্রিগোর গোলের আগে প্রথমার্ধে ২০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত শটে করা গোলে রিয়ালকে এগিয়ে দেন ভিনিসিয়ুস। সত্যিই রাতটা রিয়ালের জন্য ‘প্ল্যান বি’ মানে ব্রাজিলিয়ান সৌরভেরই ছিল।
রদ্রিগোর গোলের ভিডিও লিংক: