রোনালদোকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছিলেন জর্জিনা রদ্রিগেজ। সেই সব অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি জানিয়েছেন স্প্যানিশ মডেল।
প্রথম দেখায় ভালো লাগা আর ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা! এভাবে সিনেমার গল্পের মতোই শুরু হয়েছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর জর্জিনা রদ্রিগেজের প্রেম! রোনালদো নন, বরং রোনালদোকে প্রথম দেখায়ই তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন জর্জিনা। এত দিন পর সেই প্রথম দেখার রোমাঞ্চের কথা ইতালিয়ান সাময়িকী গ্রাৎসিয়াকে এভাবে বলেছেন স্প্যানিশ মডেল, ‘তার শরীর, তার সৌন্দর্য...আমি তো তাকে দেখে রীতিমতো কাঁপছিলাম!’
রোনালদো তখন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা। তাঁর তারকাদ্যুতিতে কাঁপছিল পুরো ফুটবল বিশ্ব। ঠিক সেই সময়ই একদিন মাদ্রিদ শহরে গুচির এক শো-রুমে রোনালদোকে দেখেন জর্জিনা। তিনি তখন ছিলেন গুচির ওই শো-রুমের সাধারণ একজন কর্মী। রোনালদো কিছু একটা কিনতে এসেছিলেন। রোনালদোর সঙ্গে বেচাকেনা নিয়ে কথা বলবেন কী, গুচির কাউন্টারে তাঁকে দেখে ‘থ’ হয়ে গিয়েছিলেন জর্জিনা, ‘তার উচ্চতা, তার শরীর, তার সৌন্দর্য আমার হৃদয় কেড়ে নিয়েছিল। তার সামনে দাঁড়িয়ে আমি তো কাঁপছিলাম। তবে আমার চোখে (প্রেমের) শিখা জ্বলে উঠেছিল।’
এর পরের গল্পটা সবারই জানা। রোনালদোকে আপন করে ঠিকই পেয়েছেন জর্জিনা। হয়েছেন তাঁর সন্তানের মা। তবে প্রথম দেখার সেই মুহূর্ত কখনোই ভুলবেন না ২৬ বছর বয়সী মডেল, ‘আমি খুব লাজুক। এ কারণেই নিজের সামনে এমন একজন সুপুরুষ দেখে আমার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রথম দেখাতেই সে আমার হৃদয় খুব গভীরভাবে স্পর্শ করে গিয়েছিল।’ ভালো লাগার সেই বিষয়টি পরে অবশ্য রোনালদোকে জানাতে পেরেছিলেন। ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করতে এরপর যা করার তা রোনালদোই করেছেন বলে জানালেন জর্জিনা, ‘সেই প্রথম দেখায় রোনালদোকে আমার ভালো লাগার পর সে আমার জন্য সবকিছুই করেছে, আমাকে ভালোবেসেছে।’
সাধারণ একজন দোকানকর্মী হয়ে ফুটবল বিশ্বের একজন মহাতারকার সঙ্গে প্রেম চালিয়ে যাওয়াটা অবশ্য সহজ ছিল না জর্জিনার জন্য। রোনালদো তাঁকে ভালোবাসেন—এটা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর জর্জিনা খুঁজে বেড়াতে থাকে সংবাদমাধ্যমের চোখ। এমনকি এত এত চোখ এড়িয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঠিকভাবে দেখা করাটাও কঠিন হয়ে পড়েছিল জর্জিনার জন্য, ‘পরিস্থিতি আর সামলানো যাচ্ছিল না। মানুষ আমাকে তাড়া করে বেড়াত। আমাকে ফোন দিত, আমার শো-রুমে ক্রেতা সেজে আসত...সংবাদমাধ্যমের চোখ এড়াতে একটা সময় আমি কাউন্টারের পেছনে কাজ করা শুরু করি।’
সংবাদমাধ্যমের এত আগ্রহ দেখে একটা সময় নিজেকে অনিরাপদও ভাবতে শুরু করেন জর্জিনা, ‘একটা সময় এটা আর সহ্য হচ্ছিল না। আমি নিজেকে পাল্টেছি, এরপরও তারা আমার পিছু নিত। আমি নিরাপদে বাইরে যেতে পারতাম না, সব সময় কেউ না কেউ আমার ছবি তোলার চেষ্টা করত। এ কারণে আমি সব সময় নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতাম।’ তবে মাঠে যখন রোনালদোকে দেখতেন, সব কষ্ট ভুলে যেতেন জর্জিনা, ‘ম্যাচের সময় একমাত্র সেই আমাকে রোমাঞ্চিত করে। সর্বকালের সেরা ফুটবলারের সঙ্গিনী হতে পেরে আমি ভাগ্যবতী। সে যখন খেলে আমি আবেগে ভেসে যাই। সে অপ্রতিদ্বন্দ্বী।