>ইতালিয়ান লিগে সর্বোচ্চ গোলের আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন রোনালদো। কিন্তু টানা অষ্টমবারের মতো এক পঞ্জিকাবর্ষে ৫০ গোল করার রেকর্ডটা হয়নি তাঁর। মাত্র এক গোলের কারণে অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি টানা সাত বছরেই থামল
সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে আজ অনেকগুলো লক্ষ্যই ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সামনে। লিগে জুভেন্টাসকে অপরাজিত রাখা, দলকে জয় দিয়ে বছরের শেষ উপহার দেওয়া। সে কাজে তিনি সফল। তাঁর জোড়া গোলেই সাম্পদোরিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে বছর শেষ করেছে জুভেন্টাস। এক ম্যাচ বেশি থেকে নাপোলির চেয়ে ৮ পয়েন্ট এগিয়ে আছে শীর্ষে থাকা জুভেন্টাস।
এসবই তো দলীয় গল্প। কিন্তু ব্যক্তিগত কিছু গল্পও তো আছে এ ম্যাচে। ২০১১ থেকে প্রতি বর্ষপঞ্জিতেই ন্যূনতম ৫০টি করে গোল করেছেন রোনালদো। আজ সে লক্ষ্যটা কিন্তু আড়ালে থাকার কথা ছিল রোনালদোর। সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে আজ হ্যাটট্রিক করলেই সেটা হয়ে যেত। কিন্তু মাত্র এক গোলের জন্য গোলের ফিফটি হয়নি রোনালদোর। ফলে বছরে অন্তত পঞ্চাশ গোল করার অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি সাতেই থামল রোনালদোর। বছরে পঞ্চাশটি করে টানা গোল করার পরের রেকর্ডটি মেসির, পাঁচ বছরের। তবে মেসি সে রেকর্ড বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আসছে বছরগুলোতে।
২০১৮ সালে মেসিকে ছুঁতে হলে রোনালদোকে অবশ্য ৪ গোল করা লাগত। তা আর হয়নি। এ বছর ৫৪ ম্যাচে মেসির গোলসংখ্যা ৫১। জুভেন্টাস তারকার সংগ্রহ ৪৯ গোল, ৫৩ ম্যাচে। তবে আজকের এ দুই গোলেই ইতালিয়ান লিগে একটি রেকর্ড গড়া হয়ে গেছে রোনালদোর। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই তাঁর প্রিয় বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে দারুণ এক শটে লিগে ১৩তম গোল পেয়ে গেছেন। আর ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন দ্বিতীয়বারের মতো। রেকর্ড হয়েছে প্রথম গোলের পরই। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে জুভেন্টাসের পক্ষেই ১২ গোল করেছিলেন রুই বারোস। এটাই ছিল সিরি ‘আ’তে কোনো পর্তুগিজের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। অর্ধেক মৌসুমেই সেটা টপকে গেছেন রোনালদো।