চ্যাম্পিয়নস লিগে আরও একটি স্বপ্নময় রাত, আরও একটি অবিশ্বাস্য রিয়াল মাদ্রিদ-কীর্তি। গত রাতে সেমিফাইনাল ফিরতি লেগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে নিশ্চিত হার যখন চোখ রাঙাচ্ছিল, ঠিক তখনই রদ্রিগোর জোড়া গোল, এরপর করিম বেনজেমা পেনাল্টি থেকে জয় এনে দেন মাদ্রিদের ক্লাবটিকে। বার্নাব্যুতে ৩-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। এমন কিছু দেখার জন্যই তো ফুটবল সমর্থকদের রাত জাগা!
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে ৪-৩ গোলে হেরে পিছিয়ে থেকে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে খেলতে নেমেছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে হুংকার দেওয়াই ছিল, বার্নাব্যুতেই হবে আসল লড়াই। কিন্তু ঘরের মাঠে রিয়াল ম্যানচেস্টার সিটিকে সেভাবে চাপেই ফেলতে পারেনি। উল্টো ৭৩ মিনিটে রিয়াদ মাহরেজের গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে আরেকটি ফাইনালই দেখছিল সিটি। ৯০ মিনিটে বেনজেমার ক্রস থেকে রদ্রিগোর সমতাসূচক গোল। কিন্তু তাতেও সিটির ফাইনাল-যাত্রা আটকে যায় না। যোগ করা সময়ে রদ্রিগোর দ্বিতীয় গোলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। কারণ, দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচে তখন ৫-৫ সমতা। শেষ পর্যন্ত ৯৫ মিনিটে বেনজেমার গোলে আরেকটি ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পগাথা লিখে ফেলে রিয়াল।
রিয়ালকে ফাইনালে তোলার আসল ‘বীর’ তো কাল রদ্রিগোই। তাঁর জোড়া গোলেই রূপকথা রচনা রিয়ালের। তবে রদ্রিগো মনে করেন চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের অতীত ইতিহাস আর এবার চেলসির বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের মনে অদ্ভুত এক বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছিল—শেষ পর্যন্ত আমরাই জিতব।
নিজে যা করেছেন, সেটি আলাদা করে রেখে রদ্রিগোর কণ্ঠে ম্যাচ শেষে ছিল কেবলই সেই বিশ্বাসের গল্প, ‘ম্যাচটা আমরা হারের পথে ছিলাম। আমরা ম্যাচেই ছিলাম না। কিন্তু এরপর যা ঘটেছে, সেটি ঘটারই কথা ছিল।’
এর পরপরই রিয়ালের জার্সির ওজনটা জানিয়ে রাখলেন রদ্রিগো, ‘এই জার্সিটা পরে আমরা শিখেছি, ম্যাচে হারার আগেই হেরে না যাওয়া। আমরা হেরেই যাচ্ছিলাম, তবে আমার প্রথম গোলই বিশ্বাসের জন্ম দেয় যে শেষ পর্যন্ত আমরাই জিতব।’