সাবেক ফুটবলার ও সদ্য সমাপ্ত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জাতীয় দলের গোলরক্ষক কোচ নুরুজ্জামান নয়ন বেদম মারধরের শিকার হয়েছেন
সাবেক ফুটবলার ও সদ্য সমাপ্ত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জাতীয় দলের গোলরক্ষক কোচ নুরুজ্জামান নয়ন বেদম মারধরের শিকার হয়েছেন

রাস্তায় বেদম মারধরের শিকার ফুটবল দলের গোলকিপার কোচ নুরুজ্জামান

সাবেক ফুটবলার ও সদ্য সমাপ্ত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জাতীয় দলের গোলরক্ষক কোচ নুরুজ্জামান নয়ন বেদম মারধরের শিকার হয়েছেন আজ। মিরপুর ৬০ ফিট থেকে আজ সন্ধ্যার পর তিনি যাচ্ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার বেলাল আহমেদের আবাস পল্লবী এলাকায়। সেখানেই এক মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে বাদানুবাদের পর মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন সাবেক এই ফুটবলার।

নুরুজ্জামানের বন্ধু ও জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার বেলাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘৬০ ফিট থেকে আসার সময় একটি বাইক রং সাইড দিয়ে যাওয়ার পথে নুরুজ্জামানের গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলে। এই সময় গাড়ি থেকে নেমে নুরুজ্জামান চিৎকার করে। তখন বাইকার সামনে গিয়ে ওর গাড়ি ব্লক করে দেয়। পরে পাঁচ–ছয়জন মিলে নুরুজ্জামানকে বেদম মারধর করে তারা। নুরুজ্জামান বাইকারের গলায় আইডি কার্ড দেখে। তাতে লেখা একটি বেসরকারি টিভির বিজনেস রিপোর্টার।’

বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার নুরুজ্জামান নয়ন

এ ঘটনার পর মিরপুর থানায় ছুটে যান বেলালসহ জাতীয় দলের কয়েকজন সাবেক ফুটবলার। তাঁদের মধ্যে আছেন ইমতিয়াজ সুলতান জনি, আল আমিন, মানিক, রুহুল আমিন, শাহজাদা ও পাপ্পু। আলফাজ আহমেদও ঘটনা শুনে মিরপুর থানার দিকে রওনা হন রাতে।

সদ্য সমাপ্ত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জাতীয় দলের গোলরক্ষক কোচ নুরুজ্জামান নয়ন বেদম মারধরের শিকার হয়েছেন

নুরুজ্জামান নিজেও আছেন মিরপুর থানায়। সেখান থেকেই মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘যে আমাকে এভাবে মেরে জখম করেছে, সে সাংবাদিক। আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম। প্রথমে সে রং সাইড দিয়ে এসে আমার গাড়ির গ্লাস ভাঙে। এ নিয়ে এক কথা দুই কথার পর ওই সাংবাদিকের নেতৃত্বে পাঁচ–ছয়জন মিলে আমাকে বেদম মেরেছে। কখনো ভাবতে পারিনি রাস্তায় এভাবে হেনস্তা হব। এ ঘটনায় আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।’

নুরুজ্জামান বাংলাদেশে গোলকিপার কোচদের মধ্যে সর্বোচ্চ সনদধারী। ঘরোয়া ফুটবলে তিনি চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার কোচ হিসেবে কাজ করছেন।