আর্জেন্টিনা দল রাশিয়ায় পা রাখার আগেই মেসিদের খাবার পাঠিয়েছে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। বিশ্বকাপে মেসি-হিগুয়েইন যেন তাঁদের দেশের প্রচলিত খাবারই খেতে পারেন, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। আর তাই রাশিয়ায় মেসিদের জন্য পাঠানো হয়েছে তিন টন খাবার
বিশ্বকাপ লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে কোনো দলই ঘাটতি রাখতে চায় না। অনুশীলন থেকে বাসস্থান, পোশাক-পরিচ্ছদ, এমনকি খাবারও হয় পরিকল্পনামাফিক। বিশেষ করে ভিনদেশে গিয়ে খাবারের ব্যাপারে খেলোয়াড়েরা বেশ সাবধান থাকেন। অসচেতনতার বশে পাছে এমন কিছু খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন যে মাঠেই নামা হলো না! আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাই কোনো ঝুঁকি নেয়নি। মেসিরা রাশিয়ায় পা রাখার আগেই তারা দেশটিতে খেলোয়াড়দের জন্য খাবার পাঠিয়ে দিয়েছে। সেটাও যেনতেন পরিমাণে নয়, তিন টন আর্জেন্টাইন খাবার।
আজ রাশিয়ায় পা রাখার কথা রয়েছে আর্জেন্টিনা দলের। মস্কো থেকে ২৫ মাইল দূরের শহর ব্রোনিৎসিতে অনুশীলন তাঁবু খাটাবে দলটি। এখানে আগেই খাবার পাঠিয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। বিশ্বকাপ চলাকালে মেসি-হিগুয়েইন যেন তাঁদের প্রচলিত খাবারই খেতে পারেন, সে জন্যই এই ব্যবস্থা—সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন রাশিয়ায় আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত রিকার্দো লাগোরিও।
রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা তাসকে লাগোরিও বলেছেন, আর্জেন্টিনায় প্রচলিত প্রায় সব খাবারই নিয়ে এসেছে জাতীয় দল—গরু, শূকর, সেদ্ধ করা কনডেনসড দুধ ইত্যাদি। আর্জেন্টিনা থেকে প্রায় তিন টন এ ধরনের খাবার এসেছে ব্রোনিৎসিতে। যে পাচক রান্না করবেন, তিনি ইতিমধ্যেই ব্রোনিৎসিতে চলে এসেছেন।
ব্রোনিৎসিতে মেসিরা কিন্তু দারুণ সুযোগ-সুবিধাই পাবেন। এই অনুশীলন ক্ষেত্রে রাশিয়ার নানা ক্রীড়াঙ্গনের জাতীয় দলগুলো নিজেদের ঝালিয়ে থাকে। এখানে ফুটবল মাঠ, অলিম্পিক সাইজ সুইমিং পুল, বাষ্প ঘর ছাড়াও আরও নানা রকম সুবিধা রয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, এত সব আয়োজন কি শেষ পর্যন্ত সার্থকতা পাবে? সে জন্য মেসিদের কিন্তু বিশ্বকাপ জিততে হবে।