মাঠের বাইরে বিভিন্ন কারণে কিছুদিন পরপরই আলোচনার জন্ম দিচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপিয়ান সুপার লিগের কারণে কয়েক মাস আগে বেশ ভালোই আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ক্লাবটির সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। কিছুদিন আগে যাঁর অডিও বার্তাও ফাঁস হয়েছে। যেখানে ক্লাবের কিংবদন্তি ইকার ক্যাসিয়াস ও রাউল গঞ্জালেসের ব্যাপারে উল্টোপাল্টা কথা বলতে শোনা গেছে তাঁকে। মৌসুম শেষে জিদান ও রামোসের বিদায় নেওয়ার স্মৃতি তো একদম টাটকা। এর মধ্যে আরেক দফা দুঃসংবাদের বাতাস দোলা দিচ্ছে রিয়াল শিবিরকে।
রিয়াল মাদ্রিদের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী দলে সের্হিও রামোসের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রক্ষণভাগ সামলাতেন ফরাসি সেন্টারব্যাক রাফায়েল ভারান। বিশ্বকাপজয়ী এই সেন্টারব্যাক নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। রামোসের বিদায়ে ভারানের কাঁধেই রিয়ালের রক্ষণভাগের মূল নেতা হওয়ার দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সে দায়িত্ব এড়িয়ে এখন ভারান নিজেও ক্লাব বদল করতে চাইছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ যেন সুখী সংসারে একের পর এক বিচ্ছেদের দমকা হাওয়া!
রিয়ালের সঙ্গে ভারানের চলতি চুক্তি শেষ হবে আগামী বছরের জুনে। চুক্তির বেশিদিন বাকি নেই। এ অবস্থায় ভারানকে নতুন চুক্তির আওতায় বহুদিন ধরেই আনতে চাইছে রিয়াল। কিন্তু ভারান নিজেই রিয়ালে থাকতে আগ্রহী নন বলে শোনা যাচ্ছে। রিয়ালের হয়ে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছেন ভারান, জাতীয় দলের হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ। এ অবস্থায় ক্যারিয়ারে নতুন চ্যালেঞ্জ চাইছেন ২৮ বছর বয়সী সেন্টারব্যাক। সেই লক্ষ্যেই হয়তো রিয়ালে থাকতে চাইছেন না ভারান!
এদিকে বিশ্বস্ত ফরাসি সাংবাদিক মুহামেদ বুহাফসি জানিয়েছেন, ইউনাইটেডের সঙ্গে ভারানের চুক্তির সবকিছুই প্রায় চূড়ান্ত। বাকি আছে শুধু রিয়ালের রাজি হওয়া। স্প্যানিশ রেডিও এল ত্রানসিস্তরও একই খবর দিয়েছে।
মজার ব্যাপার হলো, ফরাসি ক্লাব লেঁস থেকে ভারান ২০১১ সালে যখন রিয়ালে নাম লেখান, তখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও তাঁর ব্যাপারে আগ্রহী ছিল। এমনকি ভারান ইউনাইটেডে যাবেন, এটাই তখন মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। কিন্তু রিয়ালে তখন বিশেষ পরামর্শকের ভূমিকায় থাকা জিনেদিন জিদান সব হিসাব পাল্টে দেন। স্বদেশি ভারানকে বুঝিয়ে নিয়ে আসেন সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। এরপর জিদান-ভারান মিলে রিয়ালে কী কী করেছেন, তা সবারই জানা।
এক দশক পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভারান, স্বপ্ন পূরণ হয় কি না, দেখা যাক!