সের্হিও রামোস চলে যাওয়ায় খুব বেশি ক্ষতিবৃদ্ধি রিয়াল মাদ্রিদের হয়নি। ডেভিড আলাবা ও এদের মিলিতাও মিলে রিয়ালের রক্ষণটা এতটা দারুণভাবে সামলেছেন যে রামোসের অভাবটা টেরই পায়নি রিয়াল। এই দুজনের কেউ একজন খেলতে না পারলে বদলি নামা নাচোও খারাপ করেননি। এরপরও সাবেক সতীর্থকে খুব মিস করেন রিয়ালের ক্রোয়াট মিডফিল্ডার লুকা মদরিচ।
রামোস পিএসজিতে গেছেন বেশি দিন হয়নি। গত মৌসুমেই মাদ্রিদ ছেড়ে প্যারিসে পাড়ি জমিয়েছেন রিয়ালের সাবেক অধিনায়ক। পিএসজিতে নাম লেখানোর পর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচ খেলেছেন। চোটের কারণে পিএসজির হয়ে খুব বেশি মাঠে নামতে না পারলেও মদরিচের সঙ্গে নিয়মিত কথা হয় রামোসের।
মুক্ত খেলোয়াড় হিসেবে পিএসজিতে নাম লেখানো রামোসকে নিয়ে মদরিচ বলেছেন, ‘দারুণ সফল একটি দলে যাদের সঙ্গে আপনি খেলবেন, সেই দলের কেউ চলে গেলে, সেটা একটু কষ্টদায়কই।’ মদরিচ এরপর যোগ করেন, ‘চলে যাওয়া সবার জন্যই কষ্ট হয়—সের্হি নয় বছর পর চলে গেল।’
সেভিয়া থেকে রামোস রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছিলেন ২০০৫ সালে। এরপর ১৬টি বসন্ত পার করেছেন মাদ্রিদে। আর মদরিচ টটেনহাম থেকে রিয়ালে নাম লেখান ২০১২ সালে। রামোসের সঙ্গে খেলেছেন নয় বছর। প্রায় এক দশকে দুজনের মধ্যে মাঠে আর মাঠের বাইরে বোঝাপড়াটা ছিল অসাধারণ।
রামোসের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের বিষয়ে মদরিচ বলেছেন, ‘আমি এখানে আসার প্রথম দিন থেকেই সে আমার ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়। রিয়াল মাদ্রিদে মানিয়ে নিতে সে আমাকে সাহায্য করেছে। সে আমাকে উৎসাহ দিত। আমার প্রতিভায় বিশ্বাস ছিল তার। আমরা দুজনে খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠি। আমাদের পরিবারও ছিল ঘনিষ্ঠ। একসঙ্গে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতাম।’
রামোস দূরে চলে গেলেও তাঁর সঙ্গে মদরিচের যোগাযোগটা এখনো বন্ধ হয়নি, ‘আমরা এখনো প্রতিদিনই কথা বলি। অন্তত বার্তা দেওয়া-নেওয়া হয়। আমি তার সঙ্গে আড্ডা খুব মিস করি। কিন্তু ফুটবল তো এমনই।’