>২৬ মে কিয়েভে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের রাতটা রিয়াল মাদ্রিদ স্মরণীয় করে রেখেছে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতে। তবে অনেকের চোখে এখনো ভাসছে মো সালাহর সেই কান্নার দৃশ্য। এ নিয়ে এবার কথা বলতে গিয়ে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটালেন লিভারপুলের মিসরীয় তারকা
মোহামেদ সালাহ কি কখনোই রামোসকে ক্ষমা করতে পারবেন না? চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। সালাহই নতুন করে তুলে দিয়েছেন প্রশ্নটি। বলেছেন, ‘আমি এখনো রামোসকে ক্ষমা করতে পারিনি।’
রিয়ালের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলতে থাকা লিভারপুল পথ হারিয়েছিল সালাহকে হারিয়ে। রামোসের ট্যাকেলে পড়ে গিয়ে কিছুক্ষণ বাদে চোখ মুছতে মুছতে মাঠ ছাড়েন এই ফরোয়ার্ড। লিভারপুল আর দাঁড়াতে পারেনি। উল্টো খেয়ে বসেছিল হাস্যকর দুই গোল। সেই ম্যাচের পর বিশ্বজুড়ে রামোসকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এসব নিয়ে সালাহ বেশি কথা বলেননি। তবে এবার ক্ষোভের ঝাঁপি যেন খুলে দিলেন। ২৮ বছর পর মিসরকে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিয়ে গিয়েছেন। অথচ ওই এক চোটে শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল নয়, সালাহর বিশ্বকাপও পড়ে গিয়েছিল হুমকির মুখে। যে শঙ্কা থেকে সালাহ এখনো শতভাগ মুক্ত নন।
সালাহ আরও খেপেছেন দুটি কারণে। রামোস দাবি করেছেন, সালাহই আগে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন বলে ফাউলটা অমন হয়েছে। রামোসের দ্বিতীয় দাবি, সালাহ নাকি সেদিন ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে খেলতে পারতেন। অতটা মারাত্মক ছিল না তাঁর চোট।
এর জবাবে সালাহ বলেছে, ‘যে কাঁদায়, সে যদি পরে মুখে হাসি ফোটাতে পারে, তাহলে তা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু রামোস কি জানে, আমি বিশ্বকাপ খেলার মতো সুস্থ হতে পেরেছি কি না?’
সেদিনের ঘটনার পর রামোস ক্ষমা চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই বার্তার জবাব এখন দিচ্ছেন সালাহ, ‘সে আমাকে বার্তা পাঠিয়েছে। তবে আমি তাকে কখনোই বলিনি, ঠিক আছে, যা হওয়ার হয়ে গেছে।’ রামোসকে ক্ষমা করতে পারেননি সালাহ। কেন পারেননি সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘সেদিন ফাইনালে মাঠ ছেড়ে যাওয়া আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে মুহূর্ত। মাঠে পড়ে যাওয়ার পর তীব্র শারীরিক যন্ত্রণা আর মানসিক উদ্বেগ মিলেমিশে গিয়েছিল। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল আর খেলত পারব না ভেবে রাগ আর দুঃখে ফেটে পড়ছিলাম। কিছুক্ষণ পরে মনে হয়েছিল, আমার বিশ্বকাপও শেষ হয়ে গেছে। বিশ্বকাপ খেলতে পারব না, এই ভাবনা ছিল নিজেকে শেষ করে ফেলার মতো ভাবনা।’