শেখ রাসেল ২: ০ মোহামেডান

রজনীর বিদায়ী ম্যাচে শেখ রাসেলের জয়

শেষবারের মতো প্রিয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ ছেড়ে এলেন রজনীকান্ত বর্মন। পেছনে পড়ে গেল ২২ বছরের ক্যারিয়ারের অসংখ্য স্মৃতি। বিদায়বেলায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের গলায় উঠল ফুলের মালা l প্রথম আলো
শেষবারের মতো প্রিয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ ছেড়ে এলেন রজনীকান্ত বর্মন। পেছনে পড়ে গেল ২২ বছরের ক্যারিয়ারের অসংখ্য স্মৃতি। বিদায়বেলায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের গলায় উঠল ফুলের মালা l প্রথম আলো

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ, ঘাস, গ্যালারি—সবকিছু তাঁর কত চেনা! এই মাঠেই বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছিল—২০০৩ সাফ জয়। বিজয়ী সেই দলটির অধিনায়কই ছিলেন রজনীকান্ত বর্মন। মাঠের ফুটবলের সঙ্গে প্রায় ২২ বছরের গাঁটছড়া অবশেষে ছিন্ন করলেন কাল। আনুষ্ঠানিকভাবে বুটজোড়া তুলে রাখলেন এই ডিফেন্ডার।
রজনীর বিদায়ের দিনটি স্মরণীয় করে রেখেছে তাঁর দল শেখ রাসেল—মোহামেডানকে হারিয়েছে ২-০ গোলে। কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক শুরুতেই মাঠে নামান রজনীকে। ৪৫ মিনিটে তাকে উঠিয়ে মাঠে নামান রাশেদুল আলমকে। মাঠ থেকে উঠে আসার সময় কাঁদছিলেন রজনী। ক্লাব কর্মকর্তা ও সতীর্থরা তাঁর গলায় পরিয়ে দেন ফুলের মালা। ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মোহামেডানের কর্মকর্তারাও। রজনী ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে অগ্রণী ব্যাংক দল দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর একাধারে খেলেছেন মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা, ব্রাদার্স, আবাহনী ও শেখ রাসেলে। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত খেলেছেন জাতীয় দলে।
কাল পাঁচ মিনিটেই শাখাওয়াত রনি করেন প্রথম গোল। ৪১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জামাল ভূঁইয়া। এই জয়ে ২০ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে সাতে শেখ রাসেল। সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পাওয়া মোহামেডান অবনমনের শঙ্কা নিয়ে রয়েছে দশম স্থানে।