ম্যানচেস্টার বড্ড অদ্ভুত জায়গা। এক শহরেই রয়েছে ইংলিশ ফুটবলে শীর্ষ তিন বিভাগে খেলা ৫টি দল। আর ছোটখাটো দল ধরলে অবশ্য সংখ্যাটা ২০ ছাড়াবে। মাঠ আর খেলোয়াড়ের অভাব নেই ম্যানচেস্টারে। বিশাল শহরের দুই প্রান্তে রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর ম্যানচেস্টার সিটি। সমর্থকদের অবস্থা যা–ই হোক না কেন, খেলোয়াড়দের মধ্যে তেমন শীতল সম্পর্ক দেখা যায় না। আর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের কোচদের দেখা হওয়াও নতুন কিছু নয়। তেমনি দেখা হতে পারত হোসে মরিনহো আর পেপ গার্দিওলার। হুয়ান মাতার বাবা বাদ না সাধলে তাঁর রেস্টুরেন্টেই দেখা হতে পারত এই হেভিওয়েট দুই কোচের।
হুয়ান মাতার বাবা হুয়ান ম্যানুয়েল ব্যবসা খুলে বসেছেন ম্যানচেস্টারে। হুয়ান মাতা চেলসি থেকে ইউনাইটেডে ভেড়ার পরেই ম্যানচেস্টারে ব্যবসা খুলে বসেছেন ম্যানুয়েল। মাতার এজেন্টও আবার তাঁর বাবাই। ম্যানচেস্টারের মতো শহরে স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে বেশ লাভই করছেন ম্যানুয়েল। প্রায় দিনই স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের ভিড় জমে এই রেস্টুরেন্টে। শুধু খেলোয়াড় নন, রেস্টুরেন্টে ক্রেতা হিসেবে দেখা মিলেছে হেভিওয়েট দুই কোচেরও।
ডিসেম্বরেই ইউনাইটেড থেকে ছাঁটাই হন মরিনহো। তার আগে প্রায় আড়াই বছর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডাগ-আউটে দাঁড়িয়েছেন ‘স্পেশাল ওয়ান’। গার্দিওলাও ম্যানচেস্টারে এসেছেন চার বছর হতে চলল। স্পেনে কোচিং করিয়ে আসা দুজনের পছন্দের তালিকায় আছে স্প্যানিশ খাবার। জিভের স্বাদ মেটাতে দুজনেই জুটেছিলেন হুয়ান ম্যানুয়েলের রেস্টুরেন্টে। ম্যানুয়েলের ভাষ্য, ‘পেপ গার্দিওলা এখানে নিয়মিতই আসতেন। তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে এখানে বেশ আনন্দ করেন। ম্যানচেস্টারে গার্দিওলার রেস্টুরেন্টও আছে। কিন্তু তাঁর এটাই পছন্দ, এটা একটু বেশি কাতালানিয় ঘরানার।’
ম্যানুয়েল জানিয়েছেন, ‘মরিনহোও এখানে নিয়মিতই আসতেন। তবে পেপের মতো না। তিনি প্রতি দুই-তিন সপ্তাহে একবার আসতেন। তাঁদের দেখা হতে পারত, কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি তাঁদের যাতে দেখা না হয়। এ জন্য আলাদা দুই রুমে তাঁদের জায়গা করে দিয়েছি। এমনও হয়েছে যে একই সময় তাঁরা দুজন একসঙ্গে আমার রেস্টুরেন্টে ছিলেন।’
ম্যানচেস্টারে স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের ছোটখাটো আড্ডাখানা হুয়ান ম্যানুয়েলের এই রেস্টুরেন্ট— ‘শুধু আমার ছেলে নয়, ম্যানচেস্টারে স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের আড্ডাখানা এটি। ডি হেয়া, আন্দের হেরেরা, ডেভিড সিলভারা নিয়মিতই এখানে এসে আড্ডা মারেন।’