১৯৩৮ বিশ্বকাপে ফেবারিট না হলেও ব্রাজিলকে ঠিকই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন লিওনাইডাস ডা সিলভা। লিওনাইডাসের জন্য সেটি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। এর আগে দুটি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাধাই পেরোতে পারেনি ব্রাজিল। তাই সেবার কিছু করার জন্য অনেকটাই মরিয়া হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ আমেরিকার এই দলটি।
প্রথম রাউন্ডেই ব্রাজিলের আগ্রাসী রূপ টের পেয়েছিল সবাই। প্রথম ম্যাচেই পোল্যান্ডকে ৬ গোল! কোয়ার্টার ফাইনালে চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষেও ২-১ গোলের সহজ জয়ে সেমিফাইনালও নিশ্চিত করেছিল দলটি। পুরো পথ পাড়ি দেওয়ার পেছনের কারিগর ছিলেন লিওনাইডাস। সেবার প্রথম তিন ম্যাচে ৫ গোল করে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন ব্রাজিলিয়ান এই সেন্টার ফরোয়ার্ড।
তবে কোচ আদেমার পিমেন্তার ভাবনায় ছিল অন্য কিছু। সোনার ডিম পাড়া লিওনাইডাসকে দিয়ে মনে মনে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন বুনেছিলেন তিনি। আর এটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল ব্রাজিলের জন্য। ফাইনালের কথা চিন্তা করে সেমিফাইনালে তাঁকে মাঠে নামাননি কোচ আদেমার পিমেন্তা। কিন্তু হায়! পিমেন্তার সেই সিদ্ধান্তে যেন এখনো আক্ষেপে পুড়ছে ব্রাজিলিয়ানরা। ১৯৩৪-এর চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে সহজ প্রতিপক্ষ ভাবায় শেষমেশ ২-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপ শেষ করতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। অবশ্য লিওনাইডাসের ‘সংরক্ষিত শক্তি’ কাজে দিয়েছিল তৃতীয় স্থান নির্বাচনী ম্যাচে। সুইডেনের বিপক্ষে তাঁর দুই গোলে ব্রাজিল জিতেছিল ৪-২ ব্যবধানে। ৭ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন লিওনাইডাস। তবে তাতে কী আসে-যায়, তাতে কি আক্ষেপ মিটেছে লিওনাইডাসের?