>
১৮ বছরের কম বয়সী খেলোয়াড়দের দলে টানার ক্ষেত্রে নিয়মভঙ্গ করেছে চেলসি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। সামনের দুই দলবদলের সময়ে নতুন কাউকে দলে আনতে পারবে না তারা, ফিফার আদেশ। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এক দিক দিয়ে তাদের উপকারও হতে পারে। কিন্তু কীভাবে?
অপ্রাপ্তবয়স্ক খেলোয়াড় দলে আনার জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন মানেনি চেলসি। এই অভিযোগে সামনের দুই দলবদলের বাজারে নতুন খেলোয়াড় দলে টানতে পারবে না দলটি। যদিও আপিল করে শাস্তি কমানোর সুযোগ রয়েছে। ফিফা যদি তাদের পালটা যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়, শুধুমাত্র তখনই শাস্তি কমবে। চেলসি যদি শাস্তি কমাতে ব্যর্থ হয় তবে ২০২০ সালের জুনের আগ পর্যন্ত আর কোনো খেলোয়াড় দলে টানতে পারবে না ক্লাবটি। কিন্তু যদি বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এক দিক দিয়ে তাদের জন্য ভালোই হয়েছে?
ব্যাপারটা অনেকটা তেমনই।
ইউরোপের ছোট খাট অনেক দলকেই বাঁচিয়ে রেখেছে চেলসি। এবারের জানুয়ারির দলবদল শেষে জানা গেছে, ইউরোপের নানা ক্লাবে ধারে আছেন ৪২ জন চেলসি খেলোয়াড়। দুটি স্কোয়াড বানিয়ে ফেলা যায়, ম্যাচ স্কোয়াড বানানো যায় তিনটি! খেলোয়াড় কিনে কিনে এমনই অবস্থা করেছে লন্ডনের ক্লাবটি। বিভিন্ন ক্লাবে ধারে থাকা খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখে যদি চেলসি মুগ্ধ হয়, তবেই মূল একাদশে খেলানোর জন্য চেলসি নিয়ে আসে তাঁদের। থিবো কোর্তোয়া বা ভিক্টর মোসেসের ক্ষেত্রে যা করেছে তারা। ওদিকে ধারে যাওয়া খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স পছন্দ না হলে পাকাপাকিভাবে বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থা নেয় চেলসি—যেমনটা করেছে রোমেলু লুকাকু বা কেভিন ডি ব্রুইনিয়ার ক্ষেত্রে।
এভাবে বুড়ো-তরুণ মিলিয়ে বিভিন্ন ক্লাবকে ৪২ জন খেলোয়াড় ধার দিয়ে রেখেছে চেলসি। সেসব খেলোয়াড়দের অনেকেরই চেলসির মূল একাদশে খেলার যোগ্যতা আছে। তাই, খেলোয়াড় না কিনতে পারলেও সেসব খেলোয়াড়দের চেলসি যদি ডেকে নিয়ে আসে, চেলসির উপকার বৈ ক্ষতি হওয়ার কথা না। কারা তাঁরা? আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
গোলরক্ষক:
এদুয়ার্দো (ভিতেসে আর্নহেম) - হোসে মরিনহোর সময়ে ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব ডায়নামো জাগরেব থেকে দলে আসা এই পর্তুগিজ গোলরক্ষকের বয়স এখন ৩৬। এখন ডাচ ক্লাব ভিতেসে আর্নহেমে ধারে খেলছেন, বয়সী গোলরক্ষক হিসেবে বেশ ভালোই খেলছেন। আসছে জুনে চেলসির অতিরিক্ত গোলরক্ষক উইলি ক্যাবায়েরোর চুক্তি শেষ হয়ে যাবে, তখন চেলসির অতিরিক্ত গোলরক্ষক হিসেবে মন্দ হবেন না এদুয়ার্দো।
নাথান ব্যাক্সটার (ইওভিল টাউন) - চেলসির হয়ে যুব এফএ কাপ ও উয়েফার যুব লিগ জয়ী এই গোলরক্ষক ইংলিশ ফুটবলে শতাধিক ম্যাচ খেলা একমাত্র টিন-এজার। এখন ধারে খেলছেন ইওভিল টাউনে। সাবেক চেলসি গোলরক্ষক পিওতর চেককে গুরু মানেন তিনি।
ব্র্যাডলি কলিন্স (বারটন অ্যালবিওন) - ব্যাক্সটারের মতো কলিন্সও চেলসির যুবদলের হয়ে জিতেছেন এফএ কাপ ও উয়েফা যুব লীগ।
ডিফেন্ডার
ওলা আইনা (তুরিনো) - নাইজেরিয়ার অন্যতম প্রতিভাবান সেন্টারব্যাক আইনা। মরিনহো ও কন্তের মতো কোচকে মুগ্ধ করতে পারলেও, সারি আইনার খেলায় তেমন সন্তুষ্ট নন। ফলে এখন ধারে আছেন তুরিনোতে।
ট্রেভর চালোবাহ (ইপসউইচ টাউন) - চেলসির হয়ে যুব এফএ কাপ, উয়েফা যুব লীগ ও কাপ জেতা আরেক খেলোয়াড়। কন্তের অধীনে হালকা-পাতলা সুযোগ পেলেও সারির অধীনে পাননি তেমন। ফলাফল, এখন ধারে খেলছেন ইপসউইচে।
জ্যাক ক্লার্ক-সল্টার (ভিতেসে আর্নহেম) - জন টেরির মতো কোনো কিংবদন্তি যদি কারওর খেলা দেখে নিজে থেকে বলেন যে তার মধ্যে তিনি নিজের ছায়া দেখতে পান, তবে নড়েচড়ে বসতেই হয়। জ্যাক ক্লার্ক-সল্টারের কপালে জুটেছিল এমন সুনাম। যদিও চেলসির কোচেরা টেরির সঙ্গে সম্মত হননি, যে কারণে এখন ভিতেসেতে ধারে খেলতে হচ্ছে তাঁকে।
জে ডাসিলভা (ব্রিস্টল সিটি) - ক্লার্ক-সল্টারের মতো টানা তিন উয়েফা যুব লীগ জেতা খেলোয়াড় ডাসিলভা। প্রিমিয়ার লিগে খেলা যেকোনো লেফটব্যাকের চেয়ে ডাসিলভা ভালো, এমনটা দাবি করেছিলেন খোদ আর্সেনাল কিংবদন্তি ইয়ান রাইট!
রিস জেমস (উইগান অ্যাথলেটিক) - উইগান অ্যাথলেটিকের হয়ে খেলতে গিয়ে এই মৌসুমে প্রায় প্রতি মাসের দলটার সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন এই তারকা। রাইটব্যাক হিসেবে খেলা শুরু করলেও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলতে পারেন স্বচ্ছন্দে।
টমাস কালাস (ব্রিস্টল সিটি) - সেই ২০১০ সাল থেকে চেলসিতে আছেন কালাস, যদিও মূল একাদশে তেমন সুযোগ পাননি। এখন ব্রিস্টল সিটিতে খেলছেন ধারে।
কেনেথ ওমুরেও (লেগানেস) - ২০১২ সালে চেলসিতে যোগ দিলেও টানা ছয় বছর ধারে ধারেই কাটিয়ে দিচ্ছেন নাইজেরিয়ার এই ডিফেন্ডার। এখন আছেন স্প্যানিশ ক্লাব লেগানেসে। নাইজেরিয়ার হয়ে নিয়মিত খেললেও ক্লাব জীবনে এখনো কোথাও থিতু হতে পারেননি।
বাবা আব্দুর রহমান (রিমস) - জার্মান ক্লাব অগসবুর্গে আলো ছড়িয়ে ২০১৫ সালে চেলসিতে এসেছিলেন বাবা রহমান। চেলসিতে ভালো না খেলার খেসারত দিচ্ছে বিভিন্ন ক্লাবে ধারে খেলে খেলে। ঘানার এই লেফটব্যাক এখন খেলছেন ফরাসি ক্লাব রিমসে।
দুজন স্টার্লিং (কভেন্ট্রি সিটি) - ইংল্যান্ডের যুবদলের হয়ে ২০১৭ সালে ইউরো জেতা এই খেলোয়াড় টুর্নামেন্ট সেরা দলেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। রক্ষণভাগ থেকে শুরু করে আক্রমণভাগ, সব জায়গাতেই খেলতে স্বচ্ছন্দ এই সব্যসাচী খেলোয়াড়।
ফিকায়ো তোমোরি (ডার্বি কাউন্টি) - ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। আর সেই ট্রফি জেতানোর পেছনে তোমোরির অনেক অবদান ছিল। এখন খেলছেন ডার্বিতে।
কার্ট জুমা (এভারটন) - চেলসির মূল একাদশে সুযোগ না পেলেও ফরাসি এই ডিফেন্ডার বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রিমিয়ার লিগে খেলে যাচ্ছেন। কখনো স্টোক সিটির হয়ে, বা কখনো এভারটনের হয়ে। এভারটনের হয়ে এই মৌসুমে তাঁর ঝলক দেখে অনেকেই বলছেন, চাইলেই চেলসি তাকে মূল একাদশে সুযোগ দিতে পারে!
মিডফিল্ডার
তিমুইয়ে বাকায়োকো (এসি মিলান) - মোনাকো থেকে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে চেলসিতে আসলেও তেমন ভালো খেলতে পারেননি এই ফরাসি মিডফিল্ডার। ফলে এই মৌসুমে তাকে এসি মিলানে ধারে পাঠিয়েছে চেলসি। মিলানে গিয়ে নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন এই তারকা। মিলানের কোচ জেনারো গাত্তুসো নিজেও ছিলেন কিংবদন্তি মিডফিল্ডার, গাত্তুসোর অধীনে আদর্শ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হওয়ার দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সবাইকে দেখাচ্ছেন, তাঁর মান আসলে কেমন।
লুইস বেকার (রিডিং) - মরিনহোর প্রিয়পাত্র ছিলেন এই বেকার। পরিশ্রমী মিডফিল্ডার হিসেবে সমাদৃত। এখন খেলছেন রিডিংয়ে।
কিলিয়ান হ্যাজার্ড (ব্রুজেস) - ইডেন হ্যাজার্ডের চার ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়জন হচ্ছেন এই কিলিয়ান। বড় দুই ভাইয়ের মতো কিলিয়ানও ক্যারিয়ারের সূচনালগ্নে চেলসিতে এসেছেন। এখন বেলজিয়ান ক্লাব ব্রুজেস এ ধারে আছেন।
কেনেডি (নিউক্যাসল ইউনাইটেড) - মূলত স্ট্রাইকার হলেও, নিউক্যাসল ইউনাইটেডে গিয়ে উইং থেকে শুরু করে রক্ষণভাগ পর্যন্ত সব জায়গায় খেলেছেন ব্রাজিলের এই তরুণ তারকা। সেখানকার কোচ রাফায়েল বেনিতেজের পরিকল্পনার অন্যতম অংশ তিনি।
ভিক্টর মোসেস (ফেনারবাচে) - আন্তোনিও কন্তে যত দিন ছিলেন, চেলসির মূল একাদশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ছিলেন এই নাইজেরিয়ান তারকা। কন্তে চলে যাওয়ার পর চেলসির নতুন কোচ মরিজিও সারি মোসেসের প্রতিভায় মুগ্ধ হতে পারেননি, ফলে পাঠিয়ে দিয়েছেন ধারে। এখন খেলেন তুর্কি ক্লাব ফেনারবাচে।
ম্যাসন মাউন্ট (ডার্বি কাউন্টি) - ডার্বি কাউন্টিতে ধারে খেলতে গিয়ে সেখানকার কোচ (যিনি আবার চেলসি কিংবদন্তিও) ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে মুগ্ধ করে ফেলেছেন মাউন্ট। ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়েও দুটো ম্যাচ খেলা শেষ এই তরুণ তারকার।
চার্লি মুসোন্দা (ভিতেসে আর্নহেম) - প্রতিভাবান এই উইঙ্গারকে নেওয়ার জন্য রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনার মতো ক্লাব চেষ্টা করেছিল এক সময়। সবাইকে হারিয়ে চেলসিই পেয়েছিল তাকে। এখন ধারে খেলছেন ভিতেসেতে।
মারিও পাসালিচ (আটালান্টা) - ক্রোয়েশিয়ার এই প্রতিভাবান মিডফিল্ডারকে এককালে মনে করা হতো নতুন 'লুকা মদরিচ'। এসি মিলান, স্পার্তাক মস্কো, মোনাকোর মতো ক্লাবে ধারে খেলে এখন আছেন আটালান্টায়। ইতালির ক্লাবটিকে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
লুকাস পিয়াজন (শিয়েভো ভেরোনা) - বহুদিন ধরেই বিভিন্ন ক্লাবে ধারে খেলছেন ব্রাজিলের এই মিডফিল্ডার। প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে 'নতুন কাকা' হিসেবে এক কালে বেশ সুনাম কুড়ানো এই তারকা কখনো চেলসির মূল একাদশে থিতু হতে পারেননি।
ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড) - আমেরিকান ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা মানা হচ্ছে এখন পুলিসিককে। গত জানুয়ারিতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ৫৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে চেলসি এনেছে তাকে। এনেই ছয় মাসের জন্য ধারে আবার ডর্টমুন্ডেই পাঠিয়ে দিয়েছে। সামনের জুন থেকে চেলসিতে খেলবেন তিনি।
ফরোয়ার্ড
ট্যামি আব্রাহাম (অ্যাস্টন ভিলা) - ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগে খেলা অ্যাস্টন ভিলায় গোলবন্যা ছোটাচ্ছেন এই স্ট্রাইকার। দলের ৪৩ গোলের মধ্যে ২০টাই তার। আগে সোয়ানসি সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগেও খেলে গেছেন।
মিচি বাতশুয়াই (ক্রিস্টাল প্যালেস) - বেলজিয়ামের এই প্রতিভাবান স্ট্রাইকার গত মৌসুমে ভ্যালেন্সিয়ায় গিয়ে তেমন আলো ছড়াতে পারেননি। ফলে এই মৌসুমে ধারে খেলছেন ক্রিস্টাল প্যালেসের হয়ে।
আলভারো মোরাতা (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ) - রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ৫৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে চেলসিতে এসে প্রথম মৌসুমে বলার মতো কিছুই করতে পারেননি এই স্প্যানিশ তারকা। তাই এই মৌসুমে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে দুই বছরের জন্য ধারে পাঠিয়ে দিয়েছেন কোচ মরিজিও সারি। তবে ফর্মে থাকলে মোরাতা যে কত বিধ্বংসী হতে পারেন, তা রিয়াল, জুভেন্টাসের সমর্থকদের ভালোই জানা আছে।
তাছাড়া আরও যারা যারা আছেন -
জারেড থম্পসন (গোলরক্ষক, ওয়ারেনপয়েন্ট টাউন)
কারলো জিগার (গোলরক্ষক, সাটন ইউনাইটেড)
ফ্যাঙ্কাতি দাবো (ডিফেন্ডার, স্পার্তা রটারডাম)
জশ গ্রান্ট (ডিফেন্ডার, ইওভিল টাউন)
মাইকেল হেক্টর (ডিফেন্ডার, শেফিল্ড ওয়েনসডে)
টড কেন (ডিফেন্ডার, হাল সিটি)
ম্যাট মিয়াজগা (ডিফেন্ডার, রিডিং)
জ্যাক ওয়েকলি (ডিফেন্ডার, বেসিংস্টোক টাউন)
ভিক্টোরিয়েন আংবান (ডিফেন্ডার, মেতজ)
জ্যাকব ম্যাডক্স (মিডফিল্ডার, চেল্টেনহাম টাউন)
নাথান (উইঙ্গার, অ্যাটলেটিকো মিনেইরো)
কেসি পালমার (মিডফিল্ডার, ব্রিস্টল সিটি)
দানিলো পান্তিচ (মিডফিল্ডার, পার্টিজান বেলগ্রেড)
জোসিমার কিন্তেরো (মিডফিল্ডার, লিদা এস্পোর্তিউ)
ইজি ব্রাউন (ফরোয়ার্ড, লিডস ইউনাইটেড)
কিন্তু এসব তরুণ খেলোয়াড়দের ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে তো চেলসি? তরুণ খেলোয়াড় সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে তাদের যে বড়ই অরুচি! যে কারণে কেভিন ডে ব্রুইনিয়া, মোহাম্মদ সালাহ, রোমেলু লুকাকু, থরগান হ্যাজার্ড, ড্যানিয়েল স্টারিজ, নেমানিয়া মাতিচের মতো তারকারা চেলসিতে সুযোগ না পেয়েই অন্য ক্লাবে গিয়ে নিজেদের জাত চিনিয়েছেন। সম্প্রতি বেঞ্চে বসে থাকতে থাকতে ও অন্য ক্লাবে ধারে খেলতে খেলতে বিরক্ত হয়ে ক্লাব ছেড়েছেন জেরেমি বগা, বার্ট্রান্ড ট্রায়োরে, নাথান আকের মতো তরুণ তারকারা। এখন চেলসিতে থাকলেও পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছেন না ক্যালাম হাডসন-ওডোই ও রুবেন লফটাস-চিক।
এখন এই নিষেধাজ্ঞার জন্য হলেও চেলসি যদি তরুণ খেলোয়াড়দের ব্যবহার করা শুরু করে, তাহলে তো ভালোই। অন্তত এই দোষটা থাকবে না, যে চেলসি শুধুই টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত তারকা কেনে, কিন্তু ঘরের বাচ্চাদের লালন-পালন করে গড়ে তোলার ব্যাপারে তাদের চরম অনীহা।