পল পগবা এখন মুক্ত খেলোয়াড়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে তাঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এই গ্রীষ্মে। ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটির সঙ্গে নতুন চুক্তি করেননি ফরাসি মিডফিল্ডার। গুঞ্জন আছে, পগবাকে আবার তুরিনে ফেরাতে চায় জুভেন্টাস। এরই মধ্যে নাকি পগবাকে প্রস্তাবও দিয়েছে ইতালির ক্লাবটি। একই সঙ্গে শোনা যাচ্ছে, পিএসজি আর বার্সেলোনাও পগবাকে পেতে চায়।
পগবা তাহলে কোথায় যাবেন—ফুটবল বিশ্বে এখন এই প্রশ্ন ঘুরছে। পগবা নির্দিষ্ট করে এ ব্যাপারে কিছু বলেননি। তিনটি ক্লাবের উদ্দেশে একটিই বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি—যেখানে ভালোবাসা পাবেন, সেখানেই যাবেন! তুরিন, ক্যাম্প ন্যু, নাকি পার্ক দো প্রিন্সেস—ভবিষ্যৎ ঠিকানা কোনটিকে করবেন—প্রশ্নটা যখন এই, পগবার উত্তর, ‘আমি নিজের জন্য সেরাটা চাই। সবকিছু এক সূত্রে গাঁথতে চাই আমি।’
দলবদল নিয়ে কোনোরকমের তাড়াহুড়ো করতে চান না পগবা, ‘আমি সময় নিচ্ছি এবং সেরা ঠিকানাটাই খুঁজছি। আমি শুধু ফুটবল খেলতে চাই, সব সময় আমি আমার মতো হতে চাই।’ পগবা এর সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি যে কাজটা করছি, সেটা আমাকে উপভোগ করতে হবে। আর নইলে আমি ভালো খেলতে পারব না। আমি নেতিবাচক কিছু ভাবতে চাই না। আমরা ম্যাচ হারতে পারি, শিরোপা জিততে না–ও পারি। কিন্তু আমাদের আনন্দে থাকতে হবে এবং নিজের খেলাটা উপভোগ করতে হবে। আমি এটাই খুঁজছি।’
ওল্ড ট্রাফোর্ডে মোটেই সুখে ছিলেন না পগবা। জুভেন্টাসে থাকার সময় নিজেকে যেভাবে মেলে ধরেছিলেন, কিংবা ফ্রান্সের জার্সিতে তাঁকে যেমন জ্বলে উঠতে দেখা যায়, সেই রূপটা ইউনাইটেডে দ্বিতীয় দফায় আসার পর দেখা যায়নি। সে কারণেই ইউনাইটেড সমর্থকদের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্কটা শীতল হয়ে গিয়েছিল। দুয়ো শুনেছেন, সেটার জবাবে তিনিও কটুকথা বলেছেন। সব মিলিয়ে তাঁর জন্য আনন্দময় ছিল না ইউনাইটেডে এই পাঁচ বছর। এ কারণেই পরবর্তী ঠিকানা খুঁজতে গিয়ে পগবা হয়ে উঠেছেন ভালোবাসার কাঙাল, ‘সবাই ভালোবাসা চায়। এটা সবারই দরকার। আপনার আত্মার এটা দরকার।’
সবাই ভালোবাসা চায়। এটা সবারই দরকার। আপনার আত্মার এটা দরকার।পল পগবা
২০১২ থেকে ২০১৬—এই চার বছর জুভেন্টাসে পগবা খেলেছেন অসাধারণ। চার বছরে তুরিনের ক্লাবটির হয়ে চারটি ইতালিয়ান সিরি ‘আ’সহ পগবা জিতেছেন আটটি শিরোপা। তবে জুভেন্টাসে পগবা নাম লিখিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকেই। ২০১১ সালে পেশাদার ফুটবলে তাঁর অভিষেক ইউনাইটেড দিয়েই। সেখানে এক মৌসুম খেলার পরই পাড়ি জমান ইতালিতে। ২০১৬ সালে আবার সাবেক ক্লাব ইউনাইটেডে ফেরেন।