বার্বাডোজে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন নেইমার। সেখান থেকে ব্যক্তিগত বিমানে করে ফিরছিলেন বাড়িতে। বিমানের যাত্রা শুরুর আগে বোন রাফায়েলার সঙ্গে একটা সেলফিও পোস্ট করেছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কিন্তু আকাশেই সেই বিমানটিতে দেখা দেয় যান্ত্রিক গোলযোগ। ফলে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয় ব্রাজিলীয় তারকার বিমান।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য সান জানিয়েছে, বার্বাডোজ থেকে উড়ানের কিছুক্ষণের মধ্যেই নাকি সমস্যা দেখা দেয় নেইমারের বিমানে। বার্বাডোজ থেকে ব্রাজিলের পথে রওনা দিয়েছিলেন নেইমার।
বিমানটিতে সে সময় নেইমার বা তাঁর বোন ছিলেন কি না, সে ব্যাপারে অবশ্য নিশ্চিত করে কিছু লেখেনি দ্য সান। তবে তারা লিখেছে, যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর সেটি নিরাপদেই উত্তর–পূর্ব ব্রাজিলের একটি বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করতে সক্ষম হয়। বিমানটি ওড়ার আগে বোনের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটা ছবি পোস্ট করেছিলেন নেইমার।
বার্বাডোজে যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রেও গিয়েছিলেন নেইমার। সেখানে লাস ভেগাসে পোকার খেলার ছবিও তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। ব্রাজিলের হয়ে খেলে তিনি ছুটি কাটাতে উত্তর আমেরিকা যান। ব্রাজিলের হয়ে খেলা ম্যাচগুলোতে ব্রাজিলের হয়ে তিনটি গোলও করেছেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে সিউলের প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিল জয় পায় ৫–১ গোলে। সে ম্যাচে জোড়া গোল ছিল তাঁর। জাপানের বিপক্ষে তাঁর গোলেই ১–০ ব্যবধানে জেতে ব্রাজিল। এ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেইমারের গোল ৭৪টি। আর তিনটি গোল করতে পারলেই তিনি ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা গোলদাতা কিংবদন্তি পেলের সঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দী হবেন। চারটি গোল করলে তিনিই হবেন ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
নেইমার নিজের বিমানটি কিনেছিলেন ১০.৮ মিলিয়ন ডলার দিয়ে। বিমানটি লিগ্যাসি ৪৫০ মডেলের। যদিও সেই বিমানটিই জরুরি অবতরণ করেছিল কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
আট আসনের বিমানটি ঘণ্টায় ৫৩১ মাইল অতিক্রম করতে পারে। নেইমারের একটি ব্যক্তিগত হেলিকপ্টারও আছে। সেটি ১০.৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কেনা।