>চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ২-০ গোলে টটেনহামকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো লিভারপুল। লিভারপুলের হয়ে গোল করেছেন মোহাম্মদ সালাহ ও ডিভক অরিগি।
প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দিয়ে তেড়েফুঁড়ে পাল্টা আক্রমণে উঠেছে আরেক দল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ঠাসা পয়সা উশুল এক ম্যাচ...। এসবের কিছুই লেখা যাচ্ছে না আজকের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে। ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টিতে সালাহর গোলে এগিয়ে যাওয়া লিভারপুল শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের ব্যবধানে শিরোপা ঘরে তুলেছে। ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা নিজেদের দখলে নিতে শেষ মুহূর্তে গোল করেছেন বদলি হিসেবে নামা অরিগি।
এবার দুর্দান্ত লিভারপুল নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েই ফাইনালে উঠেছে। বার্সেলোনার সঙ্গে তাদের রূপকথার রাতের কথা এখনো স্মৃতির পাতা থেকে মুছে যায়নি নিশ্চয়! সেই লিভারপুল আজ মাঠে নেমেছে আরেক ইংলিশ ক্লাব টটেনহামের বিপক্ষে। যারা আয়াক্সকে নতুন করে ফুটবলের গল্প লিখতে দিয়েও দেয়নি।
আজ সেই টটেনহাম ম্যাচের প্রথম মিনিটেই হোঁচট খায়। আক্রমণে ওঠা লিভারপুলের ফরোয়ার্ড সাদিও মানের শট গিয়ে টটেনহামের মুসা সিসিকোর হাত ছুঁয়ে যায়। ডি বক্সের মধ্যে থাকায় রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। দ্বিতীয় মিনিটে পেনাল্টি শট থেকে বল জালে জড়াতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি সালাহকে। এটি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। এর আগেরটা ছিল ২০০৫ সালে। কাকতাল হলেও হতে পারে—দ্রুততম গোলটি লিভারপুলের বিপক্ষেই (৫১ সেকেন্ডে)! আর চ্যাম্পিয়নস লিগের এই মৌসুমে সালাহর এটি পঞ্চম গোল। কোনো মিসরি খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে একমাত্র গোলটি এখন সালাহর দখলে।
এরপর গোল পরিশোধের আপ্রাণ চেষ্টা করেও সফল হয়নি টটেনহাম। পচেত্তেনির শিষ্যদের একের পর এক আক্রমণ অলরেডদের রক্ষণ দেয়ালে গিয়ে আটকে যায়। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের শেষ মুহূর্ত এসে গোল হজম করে বসে কেইন-সনরা। বার্সেলোনার বিপক্ষে সেমির শেষ লেগে শেষ গোল করা অরিগির গোলে টটেনহামের স্বপ্নের শিরোপা অধরাই রয়ে যায়।